Advertisement
০২ মে ২০২৪
Firirng

Kolkata: দোলে রক্তপাত রিজেন্ট পার্কে, পরস্ত্রীকে রং, গুলিতে খুন প্রৌঢ়

পুলিশ জানায়, শুক্রবার দোলের দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার নতুন পল্লি হরীতকীতলায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দিলীপকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান। অভিযুক্ত সুজিত মল্লিক ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

দিলীপ সিংহ এবং সুজিত মল্লিক।

দিলীপ সিংহ এবং সুজিত মল্লিক। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২২ ১৭:৪২
Share: Save:

প্রতিবেশী ও মদের আসরের সঙ্গীর স্ত্রীকে জোর করে রং মাখানোর জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। পুলিশ জানায়, রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার ওই ঘটনায় নিহতের নাম দিলীপ সিংহ (৫০)। পেশায় তিনি ছিলেন বাদাম বিক্রেতা। আর অভিযুক্ত হত্যাকারী কাটা মাছের ব্যবসা করে। এমন এক জন সাধারণ ব্যবসায়ীর হাতে বন্দুক পৌঁছে গেল কী ভাবে, সেটাই ভাবাচ্ছে পুলিশকে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার দোলের দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার নতুন পল্লি হরীতকীতলায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দিলীপকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান। অভিযুক্ত সুজিত মল্লিক ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, এ দিন সকালে ঘটনার সূত্রপাত রং খেলা নিয়ে। অভিযোগ, সুজিতের স্ত্রীকে জোর করে রং মাখিয়ে দেন দিলীপ। পরে দুপুরে দিলীপ তাঁর আত্মীয় বীরেন চৌহানের বাড়িতে বসে চার বন্ধু মিলে মদ্যপান এবং খাওয়াদাওয়া শুরু করেন। সেখানে সুজিতও ছিল। মদের সেই আসরেই রং মাখানো নিয়ে বচসা শুরু হয় দিলীপ ও সুজিতের মধ্যে। সুজিত সেখানে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তার পরে সে তখনকার মতো উঠে চলে যায়।

পুলিশ জেনেছে, বেলা সওয়া ৩টে নাগাদ বীরেনের বাড়িতে ফিরে যায় সুজিত। বীরেনের বাড়ির ভিতরে ঢুকে আচমকাই বন্দুক বার করে সে এবং দিলীপকে তাক করে গুলি চালিয়ে স্কুটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন, কিন্তু সুজিতকে ধরা যায়নি। পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দিলীপকে এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানায় পুলিশ। দিলীপের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে। এখানে গত বছর দুয়েক ধরে আত্মীয় বীরেনের বাড়িতেই বসবাস করছিলেন তিনি।

গুলি চালানোর খবর পেয়ে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ এবং লালবাজারের গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলে যান। হাজির হন গোয়েন্দা বিভাগের ডিসি-ডিডি (স্পেশাল) দেবস্মিতা দাস এবং লালবাজারের হোমিসাইড শাখার পুলিশও। বীরেনের স্ত্রী মিনু সিংহ বলেন, “কিছু বোঝার আগেই দেখি, বন্দুক বার করে গুলি চালিয়ে দিল সুজিত। তার পরে পালিয়ে গেল।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরের দিকে তাঁরা একটা জোরালো শব্দ শুনেছিলেন ঠিকই। ভেবেছিলেন, কেউ হয়তো বাজি ফাটাচ্ছেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সুজিত ডায়মন্ড হারবারের দিকে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সুজিত কাটা মাছের ব্যবসা করে। সে কোথা থেকে কী ভাবে বন্দুক জোগাড় করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ দিন ঘটনস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় বাসিন্দাদের জটলা। পুলিশ বীরেনের বাড়ি ঘিরে রেখেছে। ওই বাড়ির ঠিক পাশেই অভিযুক্ত সুজিতের বাড়ি। সেখানে সুজিতের ঘর তালাবন্ধ। তার স্ত্রীকে পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। এলাকাবাসীরা জানান, সুজিত এর আগে দিলীপের কাছ থেকে বাদাম নিয়ে ব্যবসা করত। পরে কাটা মাছের ব্যবসা শুরু করে। দুই পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। তার মধ্যে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা ভেবে উঠতে পারছেন না প্রতিবেশীরা।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সুজিত ডায়মন্ড হারবারের দিকে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সুজিত কাটা মাছের ব্যবসা করে। সে কোথা থেকে কী ভাবে বন্দুক জোগাড় করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ দিন ঘটনস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় বাসিন্দাদের জটলা। পুলিশ বীরেনের বাড়ি ঘিরে রেখেছে। ওই বাড়ির ঠিক পাশেই অভিযুক্ত সুজিতের বাড়ি। সেখানে সুজিতের ঘর তালাবন্ধ। তার স্ত্রীকে পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। এলাকাবাসীরা জানান, সুজিত এর আগে দিলীপের কাছ থেকে বাদাম নিয়ে ব্যবসা করত। পরে কাটা মাছের ব্যবসা শুরু করে। দুই পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। তার মধ্যে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা ভেবে উঠতে পারছেন না প্রতিবেশীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Firirng Kolkata Police Groupclash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE