সহারা ইন্ডিয়ার অন্যতম শীর্ষকর্তা ওপি শ্রীবাস্তবকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে ১.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা নয়ছয়ে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রাতেই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। শুক্রবার ফের ইডির বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে শ্রীবাস্তবকে।
ইডি সূত্রে খবর, ১.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা জনসাধারণকে ফেরানোর কথা ছিল সহারা গোষ্ঠীর। তারা বিভিন্ন প্রকল্পের টোপ দিয়ে লগ্নিকারীদের কাছ থেকে টাকা তুলেছিল। কিন্তু টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, লোক ঠকানোর কাজে সহারাকে বিশেষ ভাবে সহায়তা করেছিলেন শ্রীবাস্তব। এই সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে ইডি। তারা শ্রীবাস্তবকে তলব করেছিল। দীর্ঘ ক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সহারা কর্তার উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তদন্তকারীরা। সেই কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে সহারার কর্ণধার সুব্রত রায়ের মৃত্যু হয়েছিল। সহারা ইন্ডিয়ায় শ্রীবাস্তবের জায়গা ছিল সুব্রতের পরেই। এই গোষ্ঠীর নাম আর্থিক তছরুপের মামলায় জড়ায় প্রায় ১৫ বছর আগে। অভিযোগ ছিল, তারা বেআইনি অর্থ লগ্নি প্রকল্পের (পনজ়ি) মাধ্যমে কোটি কোটি লগ্নিকারীর থেকে টাকা তুলেছিল। কিন্তু সেই টাকা আর ফেরত দেওয়া হয়নি। ২০১১ সালে সহারা ইন্ডিয়া রিয়েল এস্টেট কর্পোরেশন এবং সহারা হাউসিং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন নামে দুই সংস্থাকে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি। ২০১২ সালে সেই নির্দেশ বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টও জানিয়েছিল, সহারাকে ১৫ শতাংশ সুদ-সহ মূলধন ফেরাতে হবে লগ্নিকারীদের। সুদ-সহ সেই টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছিল ২৫ হাজার কোটির গণ্ডি। কিছু দিন আগে শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন লখনউয়ের এক দম্পতি। জানান, তাঁরা ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সহারায় চাকরি করেছেন। কিন্তু প্রাপ্য বেতন পাননি। বেতন বাবদ দু’কোটি টাকা তাঁদের পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে শ্রীবাস্তব ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন দম্পতি। এ বার সেই শ্রীবাস্তবকে গ্রেফতার করল ইডি।