বর্ধমানের অন্নপূর্ণা নার্সিংহোমের মালিক অনিমেষ মল্লিক (৪৯) এবং ম্যানেজার শেখ রাহুল ইসলামকে (৪২) রবিবার গ্রেফতার করল পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কিছু নথিপত্রও। ভিকি নামে যে যুবক ওই নার্সিংহোমের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া দেওয়ার ‘দালাল’ হিসেবে কাজ করেন বলে তদন্তে জানা গিয়েছে, তাঁর খোঁজ করছে পুলিশ। ধৃত অনিমেষ ও রাহুলকে এ দিন আদালতে তোলা হয়।
গত বৃহস্পতিবার বর্ধমানের খোসবাগানের অন্নপূর্ণা নার্সিংহোম থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে কলকাতায় আসার পথে মৃত্যু হয়েছিল বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অরিজিৎ দাসের। অ্যাম্বুল্যান্সে ‘চিকিৎসক’ হিসেবে যিনি আসছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে পূর্ব যাদবপুর থানায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করে অরিজিতের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও সেই ‘চিকিৎসক’কে গ্রেফতার করা হয়। এর পরেই জানা যায়, ওই ব্যক্তি আসলে এসি সারাইয়ের মিস্ত্রি!
পুরো বিষয়টি সামনে আসার পরে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশের একটি দল অ্যাম্বুল্যান্সের কাগজপত্র, সেটির মালিক কে, আদৌ ওই আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্সে যাবতীয় সরঞ্জাম ছিল কি না, অ্যাম্বুল্যান্সটির জন্য কোনও টেকনিশিয়ান নির্দিষ্ট ছিলেন কি না ইত্যাদি খতিয়ে দেখতে বর্ধমানে পৌঁছয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় অন্নপূর্ণা নার্সিংহোমের গাফিলতি ধরা পড়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষই অ্যাম্বুল্যান্সটি ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এসি সারাইয়ের মিস্ত্রি ওই ব্যক্তিকে নার্সিংহোমের কর্মীরাই যে অ্যাম্বুল্যান্সে উঠতে বলছেন, সেটাও ধরা পড়েছে ফুটেজে। প্রমাণ হিসেবে সিসিটিভি ফুটেজ-সহ কিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। আরও অভিযোগ, সাধারণ এসি অ্যাম্বুল্যান্সকেই আইসিসিইউ বলে সাজানো হয়েছিল।
বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় রবিবার বলেন, ‘‘ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ বর্ধমানে বিভিন্ন নার্সিংহোম ও অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের মধ্যে ‘চক্র’ চলার অভিযোগ উঠছে বারবার। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আশ্বাস দিয়েছেন, নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সে নিয়ে তদন্ত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy