সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার জন্য বৃদ্ধ বাবা-মাকে বেধড়ক মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে। পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। কিন্তু শেষমেশ বছর তিনেকের নাতির মুখ চেয়ে অভিযুক্তদের আপাতত হাজতবাস থেকে রেহাই দিলেন সেই মা-বাবাই। ছোট্ট নাতিটিও গারদে রাত কাটাক, তা তাঁরা চান না। তাই আদালতে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধ জানিয়ে দিলেন, ছেলে ও বৌমার জামিনে আপত্তি নেই তাঁদের।
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে ইসি ব্লকের বাসিন্দা, ব্যবসায়ী মনোজকুমার পাল ও তাঁর স্ত্রী সুব্রতা খুনের চেষ্টা, মারধর এবং ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ দায়ের করেন ছেলে শৌভনিক ও বৌমা পায়েলের বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই দিন রাতে দু’জনকেই গ্রেফতার করে। পুত্রবধূকে গ্রেফতার করা হলে শিশু নাতিকেও যে শ্রীঘরে যেতে হবে, সেটা সম্ভবত আঁচ করতে পারেননি অভিযোগকারী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। যখন টের পেলেন, তত ক্ষণে পুত্রবধূকে আদালতে তুলেছে পুলিশ। তাই হন্তদন্ত হয়ে সেখানে ছুটলেন অভিযোগকারী। কোর্টে নাতিকে দেখে স্নেহশীল দাদু আর থাকতে পারলেন না। ছেলে-বৌমার আইনজীবী জামিনের আবেদন করতেই তিনি জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে বিধাননগর উত্তর থানায় একটি ফোন আসে। পুলিশকে জানানো হয়, ইসি ব্লকের একটি বাড়িতে মনোজকুমার পাল ও তাঁর স্ত্রী সুব্রতা পালকে জখম অবস্থায় একটি ঘরে আটকে রেখে পালিয়েছে তাঁদের ছেলে ও বৌমা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দোতলার ঘর থেকে জখম ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।