আরজি করে ঠিক কোথায় ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল মহিলা চিকিৎসককে? ঘটনাস্থল দেখতে চান নির্যাতিতার বাবা-মা। সেই আর্জি নিয়ে আবার তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এর আগে এক বার উচ্চ আদালতে এই আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁদের শিয়ালদহ আদালতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আবার তাঁরা হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরজি করের অপরাধস্থল দেখতে চেয়ে নির্যাতিতার বাবা-মা প্রথমে যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে উঠেছিল। কিন্তু বিচারপতি এই মামলা শুনতে চাননি। তিনি নির্যাতিতার বাবা-মাকে প্রথমে নিম্ন আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই মতো শিয়ালদহ আদালতে আবেদন জানানো হয়। সেখানেই আরজি কর মামলার শুনানি হয়েছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এই আদালতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। শিয়ালদহ আদালত তাঁকে আজীবন কারাবাসের নির্দেশও দিয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার বাবা-মা কেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে চান, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক। তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
নির্যাতিতার বাবা-মা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে আপত্তি নেই, জানিয়েছিল সিবিআই। তারা এই ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ উঠেছিল, তার তদন্ত এখনও চলছে। তা সত্ত্বেও কেন সিবিআই এই আবেদনে আপত্তি জানাল না? প্রশ্ন তুলেছিল শিয়ালদহ আদালত। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ভর্ৎসনাও করেন বিচারক। বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের অবস্থা শোচনীয়।’’ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, সিবিআই তদন্ত করছে। এর পরেও পরিবার কী করে এই আবেদন জানায়? নির্যাতিতার বাবা-মা কি পৃথক এবং সমান্তরাল কোনও তদন্ত চাইছেন? একটি সংস্থার তদন্ত চলাকালীন তো ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার অনুমতি দেওয়া যায় না।
নির্যাতিতার বাবা-মায়ের এই আবেদনের যৌক্তিকতা নিয়েই হাই কোর্টে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, নির্যাতিতার পরিবারের তরফে ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে। এখনও তার নিষ্পত্তি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে আবেদন গণমাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা বলে দাবি করেছিল রাজ্য। আবার সেই মামলা হাই কোর্টে ফেরত এল। নির্যাতিতার বাবা-মা জানিয়েছেন, আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখতে চান।