দুর্গাপুজোর ছাপ কালীপুজোতেও!
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে গত বছর থেকে চালু হওয়া সরকারি ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’-এ পুরস্কৃত দুর্গাপুজোগুলির উদ্যোক্তারা অধিকাংশই তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তের বলে পরিচিত। কালীপুজোর পুলিশি পুরস্কারের ক্ষেত্রেও মোটামুটি একই ছবি।
এ বছরই প্রথম শহরের ৬টি সেরা কালীপুজোকে পুরস্কার দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় থাকা চেতলা অগ্রণীর সঙ্গে জড়িত পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং পর্ণশ্রী সূর্য সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম। অন্য দিকে, কালীঘাট গরমিল সঙ্ঘ মুখ্যমন্ত্রীর নিজের পাড়ার পুজো।
দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোর ক্ষেত্রেও মণ্ডপে কতটা ছাড় দিতে হবে, অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা কী রাখতে হবে, সবই নির্দিষ্ট করে দিয়েছে হাইকোর্ট। শব্দদূষণ রোধে পুজো মণ্ডপে মাইক ব্যবহারেও কড়াকড়ি রয়েছে। এ সমস্ত নির্দেশ পালন হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে শহর জুড়ে চলে পুলিশের কড়া নজরদারি। তবুও ফাঁক গলে প্রতিবারেই কালীপুজোয় মাত্রা ছাড়া অভিযোগ জমা পড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, কালীপুজোয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং শব্দবাজিতে লাগাম আনতে সেরা পুজোগুলিকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কলকাতা পুলিশ। আর এই পুরস্কারের ‘টোপে’ কাজ হয়েছে বলেও মেনে নিয়েছেন পুলিশকর্তারা। যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছরে শব্দবাজি ফাটানোয় অনেকটা রাশ টানা গিয়েছে। তিনি জানান, গত বছর যেখানে কন্ট্রোল রুমে ২৭৮টি অভিযোগ হয়েছিল সেখানে এ বছরে অভিযোগের সংখ্যা মাত্র ১০৫। যদিও পুরস্কারপ্রাপ্তেরা মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে মানতে নারাজ তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy