বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে কর্মবিরতি চলছে। ফাইল ছবি।
বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে কর্মবিরতি চলছে। কাজ বন্ধ রেখেছেন আদালতের কর্মচারীরা। যার ফলে একাধিক শুনানির কাজ পিছিয়ে গিয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টে প্রতি দিন প্রায় ৫৪টি কোর্টে শুনানির কাজ চলে। তাতে যুক্ত থাকেন কয়েক হাজার কর্মচারী। মঙ্গলবার বকেয়া ডিএ-র দাবিতে হাই কোর্টের কর্মচারীদের ৬টি সংগঠন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। ফলে শুনানির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতি দিনের মতো মঙ্গলবারও বিচারপতিরা যথাসময়ে এজলাসে এসেছিলেন। কিন্তু কর্মচারীর অভাবে শুনানির কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি তাঁরা। পদে পদে বাধা পান।
যদিও প্রধান বিচারপতির এজলাসে মঙ্গলবারও শুনানি চলেছে। কর্মবিরতির মাঝেই তিনি মামলা শুনেছেন। শুনানি হয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসেও। তিনি আদালতের ইন্টার্ন এবং অন্যান্য কর্মীদের সাহায্যে এজলাসের কাজ সচল রেখেছেন।
আদালতে বাকি প্রায় সব কোর্ট উঠে গিয়েছে। মঙ্গলবার কয়েক হাজার মামলা হাই কোর্টে শুনানির তালিকায় ছিল। কর্মবিরতির জেরে শুনানি হয়নি। দূরদূরান্ত থেকে আসা বহু মানুষ বিচার না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন। কর্মবিরতিতে তাঁদের ভোগান্তি স্পষ্ট।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি চলছে মঙ্গলবার। তবে হাই কোর্টের মূল ভবন নয়, আদালত চত্বরে অন্য একটি ভবনে রুদ্ধদ্বার শুনানিতে উপস্থিত রয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
কর্মবিরতি নিয়ে হাই কোর্টের কর্মচারীদের একাংশের বক্তব্য, তাঁদের সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতির ডাকও দেওয়া হতে পারে।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সোম ও মঙ্গলবার, দু’দিন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলি। আদালত ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সরকারি ক্ষেত্রে কর্মবিরতির প্রভাব দেখা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy