Advertisement
E-Paper

ডিজিটাল প্রক্রিয়ার জেরে রেশন কার্ড পেতে হয়রানি হাওড়ায়

একে সরবরাহে টান। তার উপর রেশন কার্ড ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া চলায় ৬ মাস ধরে হাওড়ায় বন্ধ রেশন কার্ড বিলির কাজ বন্ধ। নতুন রেশন কার্ড থেকে শুরু করে স্থানান্তরকরণ, কোনও কাজই হচ্ছে না। এর ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি হিসাবে রেশন কার্ড না পেয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৫ ০২:০৮

একে সরবরাহে টান। তার উপর রেশন কার্ড ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া চলায় ৬ মাস ধরে হাওড়ায় বন্ধ রেশন কার্ড বিলির কাজ বন্ধ। নতুন রেশন কার্ড থেকে শুরু করে স্থানান্তরকরণ, কোনও কাজই হচ্ছে না। এর ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি হিসাবে রেশন কার্ড না পেয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন জেলা খাদ্য দফতরের কর্তারাও। তাঁদের বক্তব্য, রেশন কার্ড ডিজিটাল করণের যে প্রক্রিয়া চলছে, তার ফলেই এই দেরি। কারণ একদিকে গ্রাহকদের কাছে যে রেশন কার্ড রয়েছে সেগুলির তথ্য ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। রেশন ডিলারদের কাছে জন্য লোক পাঠিয়ে সেই কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে মহকুমা খাদ্য দফতরে এই কাজ চলছে। এই অবস্থায় নতুন করে রেশন কার্ড বিলি করা হলে ফের সেগুলি ডিজিটাল করতে হবে। ফলে ঝামেলা আরও বাড়বে।

এ দিকে রেশন কার্ড সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেশন ডিলার বলেন, ‘‘প্রায় প্রতিদিন মানুষ নতুন রেশন কার্ডের জন্য আসছেন। কিন্তু খাদ্য দফতর না দেওয়ায় তাঁদের দিতে পারছি না।’’ পাঁচলার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘স্ত্রীর রেশন কার্ড স্থানান্তরের জন্য ৬ মাস ধরে ঘুরছি। কোনও সুরাহাই হচ্ছে না।’’

এ হেন পরিস্থিতিতে ফের সাধারণ রেশন কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর। সম্প্রতি এই মর্মে রাজ্য খাদ্য দফতর লিখিত নির্দেশও দিয়েছে। জেলার খাদ্য নিয়ামক শাশ্বতী ঘোষ বলেন, ‘‘বিভিন্ন ব্লকের চাহিদা মতো কিছু রেশন কার্ড সরবরাহ করা হবে। রেশন কার্ড মহকুমা খাদ্য দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই নতুন রেশনকার্ড বিলি বা স্থানান্তরকরণের কাজও শুরু হবে।’’ তিনি আরও জানান, সে ক্ষেত্রে ওই সব কার্ডের যাবতীয় তথ্য ডিজিটাল প্রক্রিয়াকরণের জন্য সংগ্রহ করার পর তা গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’

জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, রেশন কার্ড হওয়ার পর সেটা খাদ্য দফতরের অফিসে পাঠাতে হবে। সেখানে আধিকারিকরা তার ডিজিটালাইজেশনের কাজ করবেন। কার্ডগুলিকে ডিজিটালাইজড বলে স্ট্যাম্প মেরে দেওয়ার পরেই আবেদনকারীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই জেলার প্রায় ৫০ লক্ষ রেশন কার্ডের তথ্য ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। কাজ এখনও চলছে। তবে ডিজিটাল রেশন কার্ড বিলির কাজ শুরু হতে এখনও সময় লাগবে।

manirul islam ration card digitization food supply depertment saswati ghosh howrah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy