Advertisement
E-Paper

গাছের ডাল ও গুঁড়িতে এখনও রুদ্ধ নিকাশি, ক্ষোভ হাওড়ায়

পরিস্থিতি সামলাতে তাই হাতে টানা করাত ভাড়া করে দ্রুত গাছের গুঁড়ি কেটে সরানোর কাজ শুরু করছে পুরসভা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২০ ০২:৩৩
অবশেষ: ঘূর্ণিঝড়ের এক মাস পরেও সরানো হয়নি ভাঙা গাছের গুঁড়ি। রাতে যা বাড়াচ্ছে বিপদ। হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

অবশেষ: ঘূর্ণিঝড়ের এক মাস পরেও সরানো হয়নি ভাঙা গাছের গুঁড়ি। রাতে যা বাড়াচ্ছে বিপদ। হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

করোনা সংক্রমণ এড়াতে এমনিতেই হাওড়া পুরসভায় সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়ে কাজ হচ্ছে। তার উপরে পাওয়া যাচ্ছে না গাছের গুঁড়ি কাটার জন্য অভিজ্ঞ কর্মীও। তাই আমপানে উপড়ে পড়া গাছের গুঁড়ি, ডালপালা এক মাস পরেও সরানো যায়নি হাওড়ার বহু জায়গা থেকে। গাছের গুঁড়ি ও ডালে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে অনেক ফুটপাত ও নিকাশি নালা। তার জেরে দীর্ঘ সময় লাগছে বর্ষার জল সরতে। পরিস্থিতি সামলাতে তাই হাতে টানা করাত ভাড়া করে দ্রুত গাছের গুঁড়ি কেটে সরানোর কাজ শুরু করছে পুরসভা।

পুরসভার এক পদস্থ কর্তা মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আশা করা যাচ্ছে, আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে গাছের গুঁড়িগুলি পুরোপুরি সরানো সম্ভব হবে। সেগুলি পড়ে থাকায় কোথাও কোথাও হাঁটাচলা ও নিকাশির সমস্যা হচ্ছে।’’

এক মাস পরেও হাওড়ার বহু জায়গায় আমপানের ক্ষত এখনও দৃশ্যমান। পুরসভা সূত্রের খবর, হাওড়ায় প্রায় দু’হাজার গাছ উপড়ে গিয়েছিল। ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্স, এইচআইটি আবাসন-সহ বেলুড়, লিলুয়া, সালকিয়ার বিভিন্ন রাস্তা ও ফুটপাতের একাংশে গাছের গুঁড়ি-সহ এখনও পড়ে রয়েছে ভাঙা বাতিস্তম্ভ, বিদ্যুতের তার ও ছেঁড়া কেব্‌ল। ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সৌন্দর্যায়িত চত্বরে পড়ে যাওয়া গাছ কেটে ফেলা হলেও সেখানেই রয়ে গিয়েছে গুঁড়িগুলি। সরানো হয়নি ভেঙে পড়া রেলিংও। বালি, বেলুড়ের বিভিন্ন জায়গাতেও কোথাও রাস্তার একাংশে, কোথাও আবার নিকাশি নালার উপরে গাছের ডালপালা পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। বালির জি টি রোডের ধারে তার জড়ানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভাঙা বাতিস্তম্ভও।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে ওই সব রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে মানুষ তারে পা জড়িয়ে আছাড় খাচ্ছেন। তা সত্ত্বেও সেগুলি সরানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। এ ছাড়া, কোথাও পুরসভার ভ্যাটের পাশে, কোথাও রাস্তার একধারে ডালপালা জমা করা হয়েছিল। কথা ছিল, পুরসভার জঞ্জাল অপসারণের গাড়ি সেগুলি নিয়ে যাবে। কিন্তু এখনও সেই কাজ না-হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘গাছের গুঁড়িগুলি কাটা যাচ্ছে না করাতের অভাবে। বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ডালপালা কেটে সরানো গেলেও গাছের মোটা গুঁড়ি কাটা সম্ভব হচ্ছে না। সেগুলি হাতে টানা করাত দিয়ে কাটতে হবে। এই কাজ করার মতো কর্মী নেই আমাদের। তাই বাইরে থেকে দল ভাড়া করা হবে। দ্রুত সব ডালপালা, ভাঙা বাতিস্তম্ভ, তার সরিয়ে ফেলা হবে।’’

Cyclone Amphan Cyclone Municipality
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy