অবরুদ্ধ পথ। সোমবার। — নিজস্ব চিত্র
সরকারি দফতরে ছুটি, কিন্তু ছুটি নেই যানজটের।
সৌজন্যে এক গুচ্ছ মিছিল। তবে সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনেই রাজপথে মিছিলের হামলা ঠিক শীতকালীন টেস্ট ক্রিকেটের মেজাজে নয়। বরং বিক্ষিপ্ত টি-টোয়েন্টির মতোই টুকরো উপস্থিতিতে শহরের নানা প্রান্তে চালিয়ে খেলা দেখিয়ে গেল। ফলে, সকাল থেকে সন্ধ্যে দুর্ভোগের শিকার পাইকপাড়া থেকে পার্ক সার্কাস।
পুলিশ সূত্রের খবর, মিছিলের জেরে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ে পার্ক সার্কাসে। কারণ বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল এসে পার্ক সার্কাস ময়দানে জড়ো হয়েছিল। তার জেরে একাধিক বার বন্ধ করে দিতে হয় মা উড়ালপুল। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ আক্রা রোড থেকে ১০-১২ হাজার মানুষের একটি ধর্মীয় মিছিল এসে পৌঁছয় পার্ক সার্কাসে। সেই মিছিল পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় পার হতেই লেগে যায় প্রায় আধ ঘণ্টা। ওই সময়ে গোটা পার্ক সার্কাস এলাকা, মা উড়ালপুলে গাড়ি চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। বেলা সাড়ে ১২টার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এর পাশাপাশি সকাল ন’টায় রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড থেকে আর একটি মিছিল পার্ক সার্কাসে যায়। এর ফলে রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড, ওয়েলিংটন স্কোয়ার, এস এন ব্যানার্জি রোড এবং মল্লিকবাজারে যানজট হয়।
শ্যামবাজারে একটি দুর্ঘটনার জেরে দুপুরের দিকে উত্তরে বিটি রোড থেকে শুরু করে সংলগ্ন এলাকায় দুর্ভোগে প়ড়েন সাধারণ মানুষ। শ্যামবাজার এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভনিউমুখী গাড়িগুলিকে চিড়িয়ামোড় থেকে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং লকগেট উড়ালপুলের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে পাইকপাড়া, বাগবাজার, শ্যামবাজার, সিঁথির মোড়— সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে যানজট। বিটি রোডের এক দিক বন্ধ করে দিয়ে যানবাহন চলাচল জারি থাকে।
দুপুর দেড়টায় হাওড়া থেকে ভুবনেশ্বরের ট্রেনে ওঠার কথা ছিল সোদপুরের বাসিন্দা আশিস জানার। বেলা পৌনে একটার সময়েও তাঁর বাস ঠায় দাঁড়িয়ে চিড়িয়ামোড়ে। শেষমেশ বাস একটু এগোতে নেমেই গেলেন তিনি। বাগবাজার ঘাট থেকে লঞ্চ ধরে সময়ে হাওড়া স্টেশন পৌঁছনোর জন্য একরকম ছুট লাগালেন তিনি। তবে লালবাজারের এক কর্তার কথায়, ‘‘সরকারি ছুটি থাকায় লোকের সমস্যা কিছুটা কম হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy