আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে শহরের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করছে লালবাজার। সপ্তাহ দুয়েক আগে ভারতীয় জাদুঘর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একটি উড়ো চিঠি ইমেল আকারে পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। তার পরেই সুরক্ষা আরও জোরদার করতে নড়ে বসেন পুলিশকর্তারা। পুলিশ সূত্রের খবর, শহরের স্পর্শকাতর এলাকাগুলি বিশেষ নজরে রাখার পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন শপিং মল থেকে শুরু করে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে।
উল্লেখ্য, নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে কলকাতা পুলিশকে পাঠানো হুমকি ইমেলে বলা হয়েছিল, দিনের ব্যস্ত সময়ে বোমা মেরে জাদুঘর উড়িয়ে দেওয়া হবে। সেই খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত পৌঁছয় পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াড। দর্শকদের বার করে দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলে তল্লাশি। যদিও কোনও বোমা মেলেনি। তবে ওই ঘটনার পরে আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না পুলিশ। সেই কারণে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বাড়তি সতর্ক লালবাজার। তাদের তরফে প্রতিটি থানাকে পাঠানো নির্দেশে বলা হয়েছে, শহরের বিশেষ কিছু জায়গার পাশাপাশি শপিং মল, জনবহুল স্থানগুলিতে বাড়াতে হবে নজরদারি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন হোটেলে গত কয়েক দিনে কারা এসেছেন, আগামী কয়েক দিনে কাদের আসার কথা আছে— সেই বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ ডিভিশনের একটি থানায় কর্তব্যরত আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের এখানে একাধিক হোটেল এবং গেস্ট হাউস রয়েছে। তাই বাড়তি সতর্কতা থাকেই। তবে, গত কয়েক দিন ধরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। থানারই এক আধিকারিক বিষয়টি দেখছেন।’’ সক্রিয় হয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নাকা তল্লাশি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরই সঙ্গে লালবাজারের বিশেষ নজরে রয়েছে রেড রোডের নিরাপত্তা। প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে সেখানে কুচকাওয়াজ হয়। উপস্থিত থাকেন একাধিক ভিভিআইপি। তাই বিশেষত রেড রোড ও সংলগ্ন এলাকার জন্য অতিরিক্ত ক্যামেরা বসানোয় জোর দিচ্ছে লালবাজার। নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন দু’হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী। সমগ্র রেড রোডকে একাধিক জ়োনে ভাগ করা হচ্ছে। নজরদারি চালাবে সাদা পোশাকের পুলিশও। থাকছে একাধিক নজর-মিনার। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে থেকেই শহরে পথে নামানো হবে বাড়তি বাহিনী।
লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিশেষ বিশেষ জায়গা পুলিশের নজরে রয়েছে। থানাগুলিকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া আছে। সন্দেহজনক কিছু দেখলেই পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)