এম আর বাঙুরে হাসপাতালে তরুণকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রতীকী ছবি।
ফ্ল্যাটের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক তরুণী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় চিকিৎসার জন্য। তদন্ত করতে ফের সেখানে পৌঁছে পুলিশ দেখতে পায়, পাশের ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে, গল্ফ গ্রিন থানা এলাকার বিক্রমগড়ের একটি ফ্ল্যাটে।
মঙ্গলবার, দোলের দিন সকাল ৭টা নাগাদ গল্ফ গ্রিন থানার পুলিশ খবর পেয়ে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখে, ছুরির আঘাতে জখম অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক তরুণী। তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সেই ফ্ল্যাটে ফিরে এসে তারা দেখে, আর একটি ঘরে ঝুলছে এক তরুণের দেহ। পুলিশ তাঁকেও এম আর বাঙুরে নিয়ে যায়। সেখানে ওই তরুণকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তরুণীকে চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁকে সেখানেই ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, জখম তরুণীর নাম প্রীতি সর্দার। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটিতে। মৃত তরুণের নাম লিটন দাস। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোদালিয়ায়। তাঁরা গত দু’বছর ধরে বিক্রমগড়ের ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকছিলেন। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ওই তরুণীর ১৪ বছর আগে প্রথম বার বিয়ে হয়। গত ১১ বছর ধরে স্বামীর থেকে আলাদা আছেন তিনি। চার বছর ধরে ছিলেন লিটনের সঙ্গে। তাঁর একটি ছেলে রয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, সোমবার রাত থেকেই দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছিল। এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মত্ত অবস্থায় ছিলেন লিটন। হঠাৎই তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। তরুণী লুটিয়ে পড়েন রক্তাক্ত অবস্থায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বান্ধবীকে ছুরি দিয়ে পর পর আঘাত করার পরে লিটনের ধারণা হয়েছিল, ওই তরুণী মারা গিয়েছেন। সেই কারণেই ভয় পেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। তবে, ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা জানার জন্য দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
কী নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল, তা জানার জন্য পুলিশের একটি দল ওই তরুণীর সঙ্গে ফের কথা বলার চেষ্টা করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy