রাস্তায় মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে মন্দিরে ঢুকেছিলেন এক যুবক। মিনিট দশেক পরে বেরিয়ে দেখেন, বাইক উধাও। তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে পুলিশ দেখে, এক যুবক মোটরবাইকের তালা ভেঙে সেটি নিয়ে পালাচ্ছে। উত্তর বন্দর থানা এলাকার ওই ঘটনায় দুষ্কৃতীর ছবি পাওয়া গেলেও তাকে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। শেষে এক তদন্তকারী অফিসার তাঁর পরিচিতদের মোবাইলে হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে ওই দুষ্কৃতীর ছবি পাঠান। আর তাতেই কিনারা হল বাইক চুরির।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত তিনু ভট্টাচার্য ওরফে মিঠুনকে শনাক্ত করার পাশাপাশি শহরে একটি মোটরবাইক চুরি-চক্রেরও সন্ধান মিলেছে। মিঠুনের বাড়ি নিউ টাউনের হাতিয়াড়া ঝিলবাগানে। মোটরবাইক চুরির পর পরই সে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হয়ে জেলে ছিল। সোমবার তাকে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতকে জেরা করে চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ করছে পুলিশ। মিঠুনের বিরুদ্ধে বাইক চুরির অভিযোগ ছাড়াও খুন, তোলাবাজি, মাদক পাচার এবং অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিবপুরের বাসিন্দা উমেশকুমার সাউ গত ৯ ডিসেম্বর ভূতনাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁর বাইক চুরি যায়। সিসি ক্যামেরায় পুরো ঘটনা ধরা পড়লেও অভিযুক্তকে নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন তদন্তকারীরা। কোনও দিক থেকেই সূত্র না মেলায় পুলিশের এক আধিকারিক অভিযুক্ত দুষ্কৃতীর ছবি বিভিন্ন পরিচিত জনের কাছে পাঠান। তা থেকেই উত্তর শহরতলির এক বাসিন্দা চিনতে পারেন মিঠুনকে। সেই সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, নিউ টাউন থানার পুলিশ ওই ঘটনার দু’দিন পরে তাকে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করেছে।
তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতের বিরুদ্ধে চারটি খুনের মামলা রয়েছে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই মিঠুন মাদক পাচার ও মোটরবাইক চুরি-চক্রে যুক্ত হয়ে পড়ে। গত কয়েক মাসে কয়েকটি বাইক চুরির পিছনেও অভিযুক্তের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy