প্রতীকী ছবি।
বন্দরের একটি বহুজাতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার পরিত্যক্ত গুদামের ভিতরে খুনের ঘটনার পিছনে রয়েছে মৃতের এক পরিচিত যুবকের হাত। ধারের টাকা শোধ না করার জন্যই বন্দরের দুষ্কৃতী আকলিম খানকে খুন করা হয়েছে বলেই জেনেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার ১ নম্বর সোনাই রোডের ওই গুদামে আকলিমের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই সব তথ্য পান তদন্তকারীরা। যদিও সোমবার রাত পর্যন্ত খুনে অভিযুক্ত যুবক এবং তাঁর সঙ্গীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বন্দর থানার পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারাও ওই অভিযুক্তদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত আকলিম পুলিশের খাতায় দুষ্কৃতী বলে পরিচিত ছিল। ডাকাতি, তোলাবাজি, চুরি, ছিনতাই-সহ বিভিন্ন দুষ্কর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। পুলিশের হাতে একাধিক বার গ্রেফতার হওয়ার পরে জামিনে মুক্ত ছিল সে। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর এলাকায় আকলিমের বাড়ি হলেও খুনের আগে সে মেটিয়াবুরুজে থাকছিল। কলকাতা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তে বেশ কিছু নাম তাঁরা পেয়েছেন। তাদের পাকড়াও করা গেলেই খুনের কারণ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
পুলিশ জেনেছে, পশ্চিম বন্দর থানায় ঘটে যাওয়া একটি ডাকাতির মামলায় তাকে খুঁজছিল পুলিশ। সেই কারণে এলাকা ছেড়ে পালায় আকলিম। পালিয়ে থাকতে থাকতে টাকায় টান পড়ে ওই দুষ্কৃতীর।
তাই পরিচিত এক জনের থেকে কয়েক মাস আগে টাকা নেয় সে। সাহায্য করার জন্য অভিযুক্ত ওই যুবক বন্ধুকে নিজের এটিএম কার্ড এবং পাসওয়ার্ড দেয়। তদন্তকারীরা বিভিন্ন সূত্রে জেনেছেন, সেই টাকা বারবার ফেরত চাইলেও আকলিম তা দেয়নি। এর পরেই পরিতক্ত্য গুদামে আকলিমকে ডেকে পাঠায় ওই যুবক। সেখানে বসে তারা কয়েক জন মিলে মদ্যপানও করে। এর পরেই আকলিমকে খুন করে সে। পুলিশ দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি গুদাম থেকে মদের বোতলও পেয়েছিল। যা দেখেই প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ হয়েছিল, এতে পরিচিত কারও হাত আছে। এর পরেই স্থানীয় কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, আকলিমের পরিচিত ওই যুবক এলাকা থেকে উধাও। অভিযুক্ত ওই যুবকও এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে তদন্তকারীদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy