E-Paper

পোষ্য অপহরণ, চক্রের খোঁজে পুলিশ

২০২২ সালে একই রকম ঘটনা ঘটে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরে। গোল্ডেন রিট্রিভার প্রজাতির একটি কুকুরকে বাড়ির সামনে থেকে স্কুটারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও সেই কুকুরটির খোঁজ মেলেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪ ০৭:৪১
অপহৃত সাসা।

অপহৃত সাসা। —ফাইল চিত্র।

বাড়ির সামনে থেকে পোষ্যকে অপহরণের অভিযোগ করল হেদুয়ার বাসিন্দা একটি পরিবার। আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও শনিবার ভোরের এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কুকুরটির খোঁজ দিতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাস্থলের কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে (যার সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) দেখা গিয়েছে, একটি স্কুটারে চেপে তিন যুবক কুকুরটিকে তুলে পালাচ্ছে। অভিযোগকারীদের দাবি, ফুটেজের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। কুকুরটিকে খুঁজে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের কথা সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করেছে ওই পরিবার।

২০২২ সালে একই রকম ঘটনা ঘটে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরে। গোল্ডেন রিট্রিভার প্রজাতির একটি কুকুরকে বাড়ির সামনে থেকে স্কুটারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও সেই কুকুরটির খোঁজ মেলেনি। প্রশ্ন উঠছে, বার বার এমন অপহরণ কি কুকুরের বেআইনি প্রজনন ব্যবসায় লাগানোর জন্য? না কি এর পিছনে রয়েছে কোনও পাচার-চক্র?

জানা গিয়েছে, ‘কালচার পমেরেনিয়ান’ প্রজাতির কুকুরটির নাম সাসা। বয়স দু’বছর। অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে সুদীপ্তা ঘোষ জানান, তাঁর স্বামী প্রবীর শনিবার হেদুয়ার শিশির ভাদুড়ী সরণির বাড়ির সামনে একটি মন্দির ধুচ্ছিলেন। তখন একটি স্কুটারে চেপে হাজির হয় তিন যুবক। কুকুরটি বিক্রি করার ইচ্ছে আছে কি না, জানতে চায় তারা। প্রবীর প্রস্তাব নাকচ করে দেন। সুদীপ্তার কথায়, ‘‘ছেলেগুলো সাসাকে আদর করছিল। আমার স্বামী গাড়ি ধোয়া শুরু করতেই কিছু একটা স্প্রে করে তারা। এর পরে সাসাকে স্কুটারে তুলে নিয়ে পালায়। স্বামী তাড়া করলেও স্কুটারের সঙ্গে পেরে ওঠেননি।’’

বেলাতেই থানায় যান তাঁরা। তবে প্রথমেই এফআইআর রুজু করা হয়নি বলে অভিযোগ। এক তদন্তকারী অফিসার গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন। মঙ্গলবার এফআইআর রুজু করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ফুটেজে স্কুটারের নম্বর বোঝা যাচ্ছে না। তবে সূত্রের মাধ্যমে মধ্য কলকাতার একটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে তল্লাশির পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সুদীপ্তা বলেন, ‘‘কত অপেক্ষা করতে হবে! বাড়িতে রান্না বন্ধ। সাসার মা ২০২২ সালের নভেম্বরে মারা যায়। ওর বাবা ডোডো আর বোন বুলবুলি খাচ্ছে না। সাসাকে না পেলে ওদের বাঁচাব কী করে, জানি না!’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Abduction Case Pet animals Pets police investigation Animal Cruelty

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy