প্রতীকী ছবি।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অথবা কর্তব্য করতে গিয়ে নিচুতলার পুলিশকর্মীদের মার খাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এ বার কর্তব্য করতে গিয়েই কয়েক জন যুবকের হাতে হেনস্থার শিকার হলেন কলকাতা পুলিশের এক অফিসার ইন-চার্জ। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কড়েয়া থানা এলাকার একটি শপিং মলের সিনেমা হলে। ওই ঘটনায় তিলজলা থানার অফিসার ইন-চার্জের অভিযোগের ভিত্তিতে বেনিয়াপুকুর রোডের বাসিন্দা, মূল অভিযুক্ত তৌসিফ আলম নামে এক যুবককে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাত সওয়া ১১টা নাগাদ ওই শপিং মলের মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের সাউথ-ইস্ট ডিভিশনের আটটি থানার আট জন অফিসার ইন-চার্জ এবং ওই ডিভিশনেরই আরও চার জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। ছিলেন ডিভিশনের কমিশনারও। পুলিশ সূত্রের খবর, ডিভিশনের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে ‘ট্রিট’ দেওয়ার জন্যই সকলে ওই শপিং মলে গিয়েছিলেন। খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি সিনেমা দেখার পরিকল্পনাও ছিল তাঁদের। সেই মতো রাত সওয়া ১১টার শো-এ ঢোকেন সকলে। তখনও পর্যন্ত কোনও গোলমাল হয়নি। গোলমালের সূত্রপাত সিনেমা শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সঙ্গীতের সময়ে। অভিযোগ, সেই সময়ে এক অফিসার ইন-চার্জ দেখেন, দুই যুবক জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন অভব্য আচরণ করছে। তিনি প্রতিবাদ করলে উল্টে তাদের অসভ্যতা বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। শুরু হয় গোলমাল, বচসা। যা দেখে এগিয়ে আসেন অন্য অফিসারেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন তিলজলা থানার অফিসার ইন-চার্জও।
তিনি অন্য থানার অফিসার ইন-চার্জকে দুই যুবকের হাতে হেনস্থা হওয়া থেকে বাঁচান এবং অন্যত্র সরিয়ে দেন। তখনকার মতো সব মিটে যায়। কিন্তু বিরতির সময়ে বাইরে আসতেই তিলজলা থানার অফিসার ইন-চার্জের উপরে ওই দুই যুবক-সহ কয়েক জন মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। কয়েক জন মিলে হঠাৎ আক্রমণ করায় প্রথমে কিছু বুঝে উঠতে না পারলেও গোলমাল চলাকালীনই ওই অফিসার বাকিদের খবর পাঠান। ছুটে আসেন বাকিরা। তাঁদের দেখেই অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়। ধস্তাধস্তির মধ্যেই অভিযুক্তেরা তিলজলা থানার অফিসার ইন-চার্জের লকেট-সহ গলার সোনার হারটি ছিনতাই করে পালায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত যুবকদের এক জনের সঙ্গে তার পরিবার ছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সামান্য একটি বচসার ঘটনায় ওই যুবকেরা পুলিশ অফিসারের উপরে চড়াও হল কেন? এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের এক জন তৃণমূলের এক বহিষ্কৃত নেতার জামাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy