Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in Kolkata

করোনা টেস্ট করাতে গিয়ে নিখোঁজ, ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার বৃদ্ধ

স্নেহময়বাবু রাতভর কোথায় ছিলেন, তা তিনি নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না। এই মুহূর্তে তিনি ঠাকুরপুকুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা দেখে বৃদ্ধ স্নেহময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে শনাক্ত হয়। এখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা দেখে বৃদ্ধ স্নেহময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে শনাক্ত হয়। এখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২০ ২০:২২
Share: Save:

করোনা টেস্ট করতে গিয়ে ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর সন্ধান মিলল বৃদ্ধের। স্ত্রীর মৃ্ত্যুর পর ভবানীপুরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন স্নেহময় বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স ৭৫ বছর। জ্বর-সর্দির উপসর্গ দেখা দেওয়ায়, সোমবার ঢাকুরিয়ার কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে যান। সেখান থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। মঙ্গলবার তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।

স্নেহময়বাবু রাতভর কোথায় ছিলেন, তা তিনি নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না। এই মুহূর্তে তিনি ঠাকুরপুকুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই বৃদ্ধের পরিবারের অভিযোগ, করোনার উপসর্গ ধরা পড়ার পর বাড়িওয়ালা তাঁকে বলেন, কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে। এবং রিপোর্ট যদি পজিটিভ আসে তা হলে ওই বাড়িতে ফিরতে বারণ করা হয়। নেগেটিভ হলে তবেই ফিরতে পারবেন বলে বলা হয়— এমনটাই অভিযোগ।

এর পর ওই বৃদ্ধ বিষয়টি তাঁর মেয়ে স্বর্ণালী চৌধুরীকে জানান। তিনি থাকেন গুরুগ্রামে। পেশায় শিক্ষিকা। বুধবার তিনি জানান, বন্ডেল গেটে তাঁদের বাড়ি রয়েছে। কিন্তু মা মারা যাওয়ার পর, তিনি তাঁর বাবাকে ভবানীপুরের ওই ভাড়াবাড়িতে রেখে চলে যান। সম্প্রতি তাঁর জ্বর-সর্দি কাশির মতো উপসর্গ ধরা পড়ে। বৃদ্ধকে করোনা টেস্ট করতে বলেন বাড়িওয়ালা। না হলে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

এর পর মেয়ের পরামর্শে ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর সাহায্যে বৃদ্ধ ট্যাক্সি ধরে ধরে ঢাকুরিয়ার কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করতে যান। ওই হাসপাতালের সঙ্গে আগেই ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন স্বর্ণালী। সেখানে গিয়ে নমুনাও দেন স্নেহময়বাবু। তার পরেই উধাও! ফোনও সুইচড অফ হয়ে যায়। এর পরই আতঙ্কে বাবার ছবি দিয়ে নিখোঁজের বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন মেয়ে। ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে গোটা বিষয়টি। তার পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে নাম-ঠিকানা-সহ বিষয়টি তাঁরা রবীন্দ্র সরোবর থানাকে জানান।

সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাসপাতালের তরফে বৃদ্ধের মেয়েকেও দেওয়া হয়। সেখানে দেখা যায়, প্রায় ৪টে নাগাদ তিনি করোনা টেস্টের জন্য বিল করেন। তার পর ৪টে ১৭ নাগাদ তিনি সেখান থেকে চলে যান। মুখে মাস্কও ছিল তাঁর। রাতভর শুরু হয় তল্লাশি। স্বর্ণালী জানান, ঢাকুরিয়া এলাকা থেকে তাঁর বাবাকে খুঁজে পায় পুলিশ। তার পর সেখান থেকে ভাবানীপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তাঁকে ঠাকুরপুকুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।

স্বর্ণালী এ দিন বলেন, “বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। বাবাকে ফিরে পেয়েছি। কিন্তু তিনি কোথায় ছিলেন, ঠিক মতো বলতে পারছেন না।” ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তিনি কোথায় ছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে, তা-ও দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: কলকাতায় বসে ইংল্যান্ডে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! শহরেই ‘মিনি জামতাড়া’

আরও পডু়ন: ‘রামজন্মভূমি মুক্ত হল’, ১৫ অগস্টের সঙ্গে তুলনা টানলেন মোদী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Missing Coronavirus in Kolkata Coronavirus Test
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE