দেহ উদ্ধারের চার দিন পরেও ভবানীপুরের প্রৌঢ়া সুনন্দা গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুর কারণ নিয়ে অন্ধকারে পুলিশ ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। বৃহস্পতিবার বকুলবাগান রোডের ওই বাড়িতে ঘণ্টাখানেক ছিলেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, মৃত্যুর কারণ নিয়ে স্পষ্ট মতামত দিতে পারেননি বিশেষজ্ঞেরা। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকেরাও মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেননি। পুলিশের অনুরোধে এ দিন ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বিশ্বনাথ কাহালি।
সোমবার ওই বাড়িতে একটি নালা থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশ জানায়, মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে জানতে সুনন্দাদেবীর চেহারার মাপে একটি পুতুল তৈরি করে ঘটনা পুনর্গঠনের কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে নালাটি পরীক্ষা করেছে ফরেন্সিক দল। বিশ্বনাথবাবু বলেন, ‘‘এখনই সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। বহু পরীক্ষা করতে হবে। মানসিক রোগের ওষুধ মিলেছে। ওই মহিলা মনোরোগের সমস্যায় ডাক্তার দেখিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তার নথিও মিলেছে।’’
পুলিশ জানায়, এ দিনের রিপোর্টের সঙ্গে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট ও অন্য তথ্য জুড়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করবেন বিশেষজ্ঞেরা। তার আগে ফরেন্সিক দল গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন করবে বলে তদন্তকারীদের দাবি। সুনন্দাদেবীর মৃত্যুর পিছনে প্রোমোটার চক্রের হাত আছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়দের একাংশ। লালবাজার সূত্রে খবর, তার পরে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করেছে। পুলিশ জেনেছে, পথশিশুদের জন্য বাড়িতে একটি স্কুল চালাতেন প্রৌঢ়া। পুলিশের দাবি, ছাত্র ও অভিভাবকদের জিজ্ঞাসাবাদে জট খুলতে পারে। বাড়িতে যাতায়াত ছিল এমন কয়েক জনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy