বাজেয়াপ্ত: অরোদীপের নাম লেখা ওষুধের শিশি। নিজস্ব চিত্র
একটি বোতলের গায়ে ‘এআরএ’, কোনও বোতলে শুধু ‘ডি’, কোথাও আবার ‘ইইপি’ লেখা। প্রথমে খানিকটা হকচকিয়েই গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। বোতলগুলি পাশাপাশি রাখতেই উদ্ধার হয় রহস্য। দেখা যায়, ইংরেজিতে অরোদীপ নামের অক্ষর এক-একটি বোতলের গায়ে লেখা।
ভুয়ো ডাক্তার অভিযোগে ধৃত অরোদীপ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি গবেষণার কাজ করতেন শুধু। চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেননি কখনও। এরই মধ্যে ক্যানসার নিরাময়ের এই সব ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশের দাবি, অরোদীপ যে চিকিৎসা করতেন সে বিষয়ে আরও তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। এই সব ওষুধের বোতলও তদন্তে সাহায্য করবে বলেই মত পুলিশের একাংশের।
পুলিশের দাবি, বাজেয়াপ্ত হওয়া ওষুধের বোতলগুলির গায়ে ওষুধের কোনও উপাদান লেখা নেই। এমনটা কেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশকর্তা।
আরও পড়ুন: বিক্রমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার প্রস্তুতি
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন অরোদীপ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়। চিকিৎসা করার কোনও প্রয়োজনীয় নথি না থাকা সত্ত্বেও ধৃত অরোদীপ চিকিৎসা করতেন বলে অভিযোগ। যদিও আদালতে অরোদীপের আইনজীবী সৌম্যজিৎ রাহা জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেল চিকিৎসা করতেন না, কখনও নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে দাবিও করেননি। এর পরেই অরোদীপের কাজের বিষয়ে নানা তথ্য হাতে আসে পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে তদন্তে নেমে বেশ কিছু ফাঁকা প্যাড বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেখানে প্যাডের প্রতিটি পাতায় ধৃত অরোদীপের স্বাক্ষর না থাকলেও, তাঁর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বাবার স্বাক্ষর রয়েছে। কেন এত ফাঁকা প্যাডের পাতায় স্বাক্ষর, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। প্রয়োজনে সে সব অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হতে পারে বলেও সোমবার ইঙ্গিত মিলেছে বিধাননগর পুলিশ সূত্রের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy