Advertisement
E-Paper

কলেজে ধর্ষণকাণ্ডে ধৃত ‘পি’-কে নিয়ে তাঁর হাওড়ার বাড়িতে কলকাতা পুলিশ, চলল তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত নথি

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ‘পি’ বরাবরই পড়াশোনায় ভাল। হাসিখুশি তরুণ। তাঁর সম্পর্কে এর আগে খারাপ কিছু কেউ শোনেননি। এক প্রতিবেশীর কথায়,‘‘তবে যে অপরাধ ও করেছে বলে অভিযোগ,তা যদি সত্যি হয়, কঠোর শাস্তি হোক।’’

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ১৬:২৩

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণে ধৃত ‘পি’কে নিয়ে তাঁর বাড়িতে গেল পুলিশ। রবিবার সকাল থেকে তাই নিয়ে শোরগোল এলাকায়। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশের একটি দল।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃত ‘পি’ (পুলিশের খাতায় কোডনেম) হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার বাসিন্দা। এলাকায় তিনি বেশ পরিচিত। ধর্ষণের ঘটনায় তাঁর নাম জড়ানোর প্রতিবেশীরা অবাক। গত বৃহস্পতিবার ‘পি’ গ্রেফতার হন। তার পর এই প্রথম বার তাঁকে নিয়ে বাড়িতে যায় পুলিশ। জানা যাচ্ছে, বাড়িতে বেশ কিছু ক্ষণ তল্লাশি চলে। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে পুলিশ। তার পর বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। ধৃত যুবককে নিয়ে পুলিশ যখন গাড়িতে ওঠে ভিড় জমে যায় আশপাশে। বস্তুত, ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেয়েছে পুলিশ। সেখানে ধৃত ‘পি’ উপস্থিত ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ‘পি’ বরাবরই পড়াশোনায় ভাল। হাসিখুশি তরুণ। তাঁর সম্পর্কে এর আগে খারাপ কিছু কেউ শোনেননি। এক প্রতিবেশীর কথায়,‘‘তবে যে অপরাধ ও করেছে বলে অভিযোগ,তা যদি সত্যি হয়, কঠোর শাস্তি হোক। দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’’ ‘পি’-র বাড়ির কেউ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, কসবার ল কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন চার জন। ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ‘এম’ (নামের আদ্যক্ষর)। তিনি কলকাতার বাসিন্দা। বাকি দু’জনের মধ্যে ‘জে’-ও কলকাতার। ‘পি’-র বাড়ি হাওড়া। তা ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন কলেজের এক রক্ষী। যাঁকে ‘অসহায়’প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন ‘নির্যাতিতা।’ গত শনিবার ‘নির্যাতিতা’কে কলেজে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। গণধর্ষণে অভিযুক্ত তিন জনের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা ছাড়া সিট-এর সদস্য সংখ্যা পাঁচ থেকে বেড়ে নয় হয়েছে। যে চার অফিসারকে যুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা সাব-ইনস্পেক্টর।

(ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনায় যত ক্ষণ না অভিযুক্তকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে, তত ক্ষণ তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। সেই কারণে আনন্দবাজার ডট কম কসবার ধর্ষণকাণ্ডে তিন অভিযুক্তের নাম এবং ছবি প্রকাশে বিরত থাকছে)

Kasba Rape Case Gangrape Case Kolkata Police Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy