Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
noise pollution

Noise pollution: বাইক-গাড়ির শব্দদূষণে ব্যবস্থা নেবে না পুলিশ

মোটরবাইকের বিকট শব্দ, নানা রঙের আলোর ব্যবহার বা মিউজ়িক্যাল হর্নের বিরুদ্ধে পুলিশ মোটরযান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিত। যাতে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হত। কলকাতা পুলিশ এলাকায় প্রতি মাসে গড়ে এই সংক্রান্ত ১২-১৫টি মামলা রুজু হয়েছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২২ ০৮:৫৩
Share: Save:

শহরের বুকে মোটরবাইকের বেপরোয়া গতির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে তার বিকট শব্দদূষণও। যার বিরুদ্ধে পুলিশ কিছু দিন আগে পর্যন্তও ব্যবস্থা নিতে পারত। তবে এ বার থেকে আর পুলিশ নয়, গাড়ি ও মোটরবাইকের শব্দ-তাণ্ডবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পরিবহণ দফতর।
মোটরবাইকের বিকট শব্দ, নানা রঙের আলোর ব্যবহার বা মিউজ়িক্যাল হর্নের বিরুদ্ধে পুলিশ মোটরযান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিত। যাতে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হত। কলকাতা পুলিশ এলাকায় প্রতি মাসে গড়ে এই সংক্রান্ত ১২-১৫টি মামলা রুজু হয়েছে। জানুয়ারিতে ওই ধারায় মামলা হয়েছিল ১২টি। তবে এ বার থেকে এ বিষয়ে আর হস্তক্ষেপ করবে না পুলিশ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি পরিবহণ দফতরের তরফে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে গাড়ি বা মোটরবাইকের হর্ন, গাড়ির আলো বা অন্য কিছুর অবৈধ ভাবে বদল ঘটালে পুলিশ নয়, ব্যবস্থা নেবেন পরিবহণ দফতর নিযুক্ত মোটর ভেহিক্‌লস ইনস্পেক্টর।
লালবাজার সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাদের হাতে ওই নির্দেশিকা এসেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, বাইকের বিকট শব্দ, হর্ন বা গাড়ির আলোর ঝলকানির বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। প্রয়োজনে গাড়ি বা মোটরবাইকের নম্বর লিখে রেখে তা পরিবহণ দফতরকে জানানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, পরিবহণ দফতরকে তাঁরা অনুরোধ করবেন, মোটর ভেহিক্‌লস ইনস্পেক্টরকে দিয়ে যেন প্রতিদিন তল্লাশি বা অভিযান চালানো হয়। এর জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এমনিতেই শহরের সাধারণ বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাড়ি ও মোটরবাইকের বিকট শব্দ, চোখ ধাঁধানো আলো দেখেও পুলিশ বেশির ভাগ সময়েই ব্যবস্থা নেয় না। তাই নতুন এই নির্দেশিকার কারণে ফাঁপরে পড়েছে পুলিশ। কারণ তাদের আশঙ্কা, এর পরে পরিবহণ দফতর ব্যবস্থা না নিলে তার দায়ও এসে চাপবে পুলিশের উপরেই।
যদিও দফতর সূত্রের খবর, জটিলতা এড়াতেই ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কে, কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে, তার স্পষ্ট বিভাজন করে দেওয়া হয়েছে। তাই কোনও গাড়ি বা মোটরবাইকের হর্ন বা আলোয় বদল ঘটালে তার বিরুদ্ধে পরিবহণ দফতর ব্যবস্থা নেবে। আর ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ির নথি সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তবে কোনও দরকার পড়লে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে বলেও দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
পুলিশের একাংশের দাবি, কেউ কেউ নিজের মোটরবাইককে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাইলেন্সার খুলে ফেলেন। কেউ আবার হেডলাইটের বদলে লাগান এলইডি আলো। এই ধরনের বাইকের বিরুদ্ধে এত দিন পুলিশের তরফে লাগাতার অভিযান চালানো হত বলে দাবি। কিন্তু এখন পুলিশ আর ব্যবস্থা না নিলে এই শব্দ-তাণ্ডব কি আদৌ রোখা যাবে— তা নিয়েই চিন্তায় রয়েছেন শহরবাসীদের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

noise pollution
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE