Advertisement
১১ মে ২০২৪

তপ্ত মরসুমে ডিম বাদ ভোটের মেনু থেকে

এক দিকে চড়া রোদের গরম, সঙ্গে ভোটের উত্তাপ। তাই শরীর সুস্থ রাখতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেই কর্মীদের খাবারের মেনু একটু বদলাচ্ছে। ঢোকানো হচ্ছে সহজপাচ্য খাবার।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অনুপ চট্টোপাধ্যায় ও কৌশিক ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৯ ০১:২১
Share: Save:

ভোটের দিনে গাঁ-গঞ্জে দলীয় কর্মীদের প্রাতরাশের মেনু ছিল মুড়ি, ঘুগনি। আজ শহরের ভোটে ব্রেকফাস্টে দলীয় কর্মীদের জন্য কোথাও মাখন দিয়ে টোস্ট, কোথাও পাউরুটি-কলা। তার সঙ্গে আমপোড়ার শরবত।

এক দিকে চড়া রোদের গরম, সঙ্গে ভোটের উত্তাপ। তাই শরীর সুস্থ রাখতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেই কর্মীদের খাবারের মেনু একটু বদলাচ্ছে। ঢোকানো হচ্ছে সহজপাচ্য খাবার। আজ, রবিবার, ভোটের দিনে বিভিন্ন এলাকায় কর্মী, সমর্থকেদের খাওয়ানোর জন্য শনিবার রাত থেকেই একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে আয়োজন। তৃণমূল থেকে কংগ্রেস, বিজেপি, বাম সব দলই স্বাস্থ্যের কথা ভেবে মেনু থেকে ডিম বাদ দিচ্ছে। তবে বিরিয়ানি, চিকেন চাঁপ, নান ও চিলি চিকেন বাদ দিতে পারেনি সকলে।

রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রত্যেক বছরেই ভোটের সময়ে দুপুরে মটন বা চিকেন বিরিয়ানির ব্যবস্থা করা হয়। প্রাতরাশে রাখা থাকে ডিম সেদ্ধ। এ বার সে সব রাখা হচ্ছে না। তাঁর কথায়, ‘‘এই গরমে ডিম অনেকেরই সহ্য হয় না। পরিবর্তে থাকছে কেক আর আম।’’ দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর মুখ্য নিবার্চনী এজেন্ট দেবাশিস কুমার বলেন, রমজানের মধ্যে ভোট পড়েছে। তাই বুথে দলের মুসলিম কর্মীদের রোজা ভাঙার জন্য খেজুর, জল-সহ রকমারি খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে।’’ কসবা এলাকার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের কথায়, ‘‘ভোটের সময়ে বিরিয়ানি, ছাড়া কর্মীদের মন ভরে না। তাই সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’ এ দিন সকালেই খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হবে বুথের দলীয় কর্মীদের কাছে বলে জানান তিনি।

যাদবপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই গরমে হালকা খাবারই ভাল। সে ভাবেই মেনু করা হয়েছে। তবে আমি এই বিষয়টি দেখছি না।’’ ওই কেন্দ্রের ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পার্টি খুব বেশি টাকা এই খাতে বরাদ্দ করেনি। তবে গরমের কথা ভেবে ঠান্ডা জল বা শরবত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুপুরে লুচি-আলুর দম থাকছে।’’ যাদবপুরে শাসকদলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘যে যে এলাকার দায়িত্বে আছেন, মেনু তাঁরাই করছেন। তবে সকলকে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখতে।’’ ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সুব্রত ঘোষ রাসবিহারী অঞ্চলের কয়েকটি ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের খাওয়ানোর দায়িত্বে আছেন। তিনি বলেন, ‘‘ব্রেকফাস্টে থাকছে ভেজিটেবল স্যান্ডউইচ আর কলা। দুপুরে এক টুকরো করে মাছ এবং চিকেন স্টু। সঙ্গে সাদা ভাত ও ফ্রায়েড রাইস, দুই-ই থাকছে।’’

বড়বাজারের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইলোরা সাহা জানান, কর্মীদের জন্য সকালে কচুরি, আলুর দম আর মিষ্টি দিয়ে প্যাকেট করা হচ্ছে। দুপুরে ফ্রায়েড রাইস-চিলি চিকেন। একই খাবার বেলেঘাটা অঞ্চলে রাখছেন উত্তর কলকাতার যুব তৃণমূল সভাপতি জীবন সাহা। আর রাজাবাজারের কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি আমপোড়া বা জলজিরার শরবতে। সকালে থাকছে প্লেন টোস্ট। তবে দুপুরে পাতলা মুরগির ঝোল আর ভাত রাখতে বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Food Egg
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE