ফাইল ছবি
আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি মহড়া দৌড়ের জন্য রেক নিয়ে যাওয়া হতে পারে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথে। নির্মীয়মাণ ওই মেট্রোপথের প্রথম পর্বে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার অংশে চলতি বছরের শেষে পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জোকা-তারাতলা মেট্রোর মতো নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোও চলবে কোনও সিগন্যালিং ব্যবস্থা ছাড়াই। আপাতত নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অংশে ‘ওয়ান ট্রেন সিস্টেম’ বা একটিমাত্র ট্রেন দিয়ে পরিষেবা চালুর কথা ভাবা হয়েছে। ওই রুটে পঞ্চসায়র সংলগ্ন সত্যজিৎ রায় এবং মুকুন্দপুর সংলগ্ন জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী স্টেশন নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ। তবে বাকি দু’টি স্টেশন, নিউ গড়িয়া এবং কবি সুকান্তের কাজ এখনও কিছুটা বাকি।
প্রসঙ্গত, ইএম বাইপাস সংলগ্ন অভিষিক্তা মোড়ে মেট্রোর উড়ালপথের প্রায় ১৩০ মিটার অংশের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল জমি-জটে। কয়েক মাস আগে ওই অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে সেখানে লাইন পাতার কাজ এখনও বাকি। একই ভাবে, নিউ গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন ইয়ার্ড থেকে স্টেশনে ট্রেন নিয়ে যাওয়ার জন্য যে পথ, সেখানেও লাইন পাতার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। তবে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর জন্য প্রয়োজনীয় কারশেড নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। তা প্রায় শেষের মুখে। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর লাইন থেকে ঠিক পাশেই নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর কারশেডে রেক নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই ইয়ার্ডের সংযোগকারী লাইন পাতার কাজও দিন পনেরো আগে সম্পূর্ণ হয়েছে। এর পাশাপাশি, লাইন পাতা এবং থার্ড রেল বসানোর কাজ চলছে কারশেড থেকে নিউ গড়িয়া স্টেশনে ট্রেন নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পথে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ওই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তার পরেই ব্যাটারিচালিত বিশেষ ইঞ্জিন ব্যবহার করে মহড়া দৌড়ের জন্য নতুন স্টেশনে রেক নিয়ে যাওয়া হবে। একটি রেক নিয়েই চলবে মহড়া ।
এক মেট্রোকর্তা বলেন, ‘‘সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে মহড়া দৌড় শুরুর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। কাজ শুরু হওয়ার এক দশকেরও বেশি সময় পরে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের প্রথম অংশে চলতি বছরের শেষে ট্রেন ছুটতে পারে। বিভিন্ন সময়ে জমি-জট ছাড়াও নানা প্রশাসনিক জটিলতায় বার বার বিঘ্নিত হয়েছে কাজ।’’ তবে মহড়া দৌড়ের প্রহর গোনা শুরু হলেও একটি ট্রেন দিয়ে পরিষেবা চালু হলে সাধারণ যাত্রীরা কতটা উপকৃত হবেন, সেই সংশয়ও থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy