Advertisement
E-Paper

তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন প্রেসিডেন্সিতে, গেটের মুখ থেকে ফিরে গেলেন উপাচার্য

হিন্দু হস্টেল না পাওয়া পর্যন্ত এ ভাবেই আন্দোলন চলবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৩৬
তালা ঝুলিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছেন পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র।

তালা ঝুলিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছেন পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র।

হিন্দু হস্টেলের দাবিতে ফের জোরদার আন্দোলন শুরু করলেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। সোমবার সকাল থেকেই প্রেসিডেন্সির গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। হিন্দু হস্টেল না পাওয়া পর্যন্ত এ ভাবেই আন্দোলন চলবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

এ দিন সকালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া এবং অন্য শিক্ষক-সহ কর্মীরা। পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ভিতরে ঢুকতে দিলেও, উপাচার্য, রেজিস্টার বা শিক্ষকদের ভিতরে ঢুকতে দেননি পড়ুয়ারা। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর উপাচার্যেরা ফিরে যান। ফিরে যাওয়ার আগে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বলেন, ‘‘আমি কখনই পুলিশ নিয়ে ভিতর ঢুকব না। কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীর আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে যেতে পারে না। তবে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষে আজ জেনারেল বডি মিটিং ছিল। ঢুকতে না পারলে সেই মিটিং হবে না।’’

আন্দোলনকারী পড়ুয়া পদার্থবিদ্যার ছাত্র অভিষেক সাঁধুখা বলেন, ‘‘হিন্দু হস্টেলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছি। উপাচার্যের সঙ্গে দেখাও করেছি। কিন্তু কোনওভাবেই সারাইয়ের কাজ শেষ হয়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে এই পথ বেছে নিয়েছি। আজ থেকে ছাত্র ছাড়া আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’’ আর এক ছাত্র সায়ন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সমাবর্তন অনিশ্চিত কি না আমরা জানি না। তবে এটা আমাদের ছাত্রদের অধিকারের প্রশ্ন। আমরা এই অধিকার ছাড়ব না।’’

আরও পড়ুন: বীরভূমে তৃণমূলের পার্টি অফিসে বিস্ফোরণ, মজুত বোমা নাকি অন্য কিছু, এখনও রহস্য

এ দিন সকালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, গেটে তালা। ভিতরে ত্রিপল খাটিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন পড়ুয়ারা। আর বাইরের দিকে গেটে একটি প্রতীকী পোস্টার লাগানো হয়েছে। যাতে ব্যঙ্গের সুরে লেখা, ‘প্রেসি বন্ধ, হস্টেল মেরামতির কাজ চলছে’।

দেখুন ভিডিয়ো:

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কারখানার গেট নয় যে তালা লাগালাম। এই রাজনীতিটা ৩৪ বছর ধরে শিখে এসেছে। সেই প্রভাব মুক্ত হতে পারেননি তাঁরা। আর কর্তৃপক্ষও প্রভাবমুক্ত হতে পারেননি। তাই দেখছেন কিন্তু ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। হস্টেলের ব্যাপারে আমার মতামত খুব পরিষ্কার, হস্টেল যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করে ছাত্রদের দেওয়া হোক।’’

সংস্কারের জন্য ২০১৫ সালে খালি করা হয়েছিল শতাব্দী প্রাচীন এই হস্টেল। সংস্কারের কারণে পড়ুয়ারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজারহাট হস্টেলে রয়েছেন। কিন্তু, তিন বছর হয়ে গেলেও এখনও সংস্কার শেষ হয়নি ঐতিহ্যবাহী হিন্দু হস্টেলের। সেখানে মোট তিনটি ব্লক। তার মধ্যে একটি ব্লকের কাজ শেষ হতে এখনও কম করে তিন মাস লাগবে। বাকি দু’টি ব্লকে কবে সংস্কার হবে, কেউ জানেন না। হস্টেলের ভিতরের মাঠ দেখলে আঁতকে ওঠার জোগাড়। আগাছায় ভর্তি। কোথাও বালি পড়ে রয়েছে তো কোথাও ইট-কাঠ-পাথর। গত ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় এবং পড়ুয়ারা হিন্দু হস্টেলে না থাকতে পারায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

Presidency university Hindu hostel প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় হিন্দু হস্টেল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy