দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে মঙ্গলবার থেকে শুরু হল প্রাথমিকের ইন্টারভিউ। আর প্রথম দিনেই ইন্টারভিউ দিতে এসে শূন্যপদ বাড়ানোর দাবি তুললেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রাথমিকে শুধুমাত্র ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক পদের জন্য ইন্টারভিউ ছিল এ দিন। পুরো ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে এর ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। সূত্রের খবর, এ দিন ১২৫ জনের ইন্টারভিউ দেওয়ার কথা ছিল। তবে কিছু প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর থেকে এ দিন ইন্টারভিউ দিতে আসেন অচিন্ত্য মল্লিক নামে এক চাকরিপ্রার্থী। হিমাচল প্রদেশের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক অচিন্ত্য বলেন, ‘‘আমি ২০২২ সালের টেট পাশ। নিজের রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছি হিমাচল প্রদেশে, বেসরকারি স্কুলে পড়াতে। ওখান থেকেই আবেদন করেছি। রাজ্যে ফিরতে চাই।’’ পুরুলিয়ার আদ্রা থেকে আসা চাকরিপ্রার্থী অর্ণব মল্লিক বলেন, ‘‘১৩ হাজারের কিছু বেশি শূন্যপদের জন্য প্রায় ৬০ হাজার জন ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। শূন্যপদ বাড়ালে আমাদের সুযোগ বাড়ত।’’ আর এক চাকরিপ্রার্থী বিদেশ গাজি বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়া বিধানসভা নির্বাচন শুরুর আগে শেষ করতে হবে।’’
এ দিন স্কুল সার্ভিস কমিশনও একাদশ-দ্বাদশের কিছু প্রার্থীর তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া করেছে করুণাময়ীতে, এসএসসি-র নতুন ভবনে। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, আদালতের নির্দেশে এই তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। ১৫৪ জনের তথ্য যাচাই করার কথা ছিল। উপস্থিত ছিলেন ৭৭ জনের মতো।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)