প্রতীকী ছবি।
জল সামলাবেন, না চোর! প্লাবনের সময়ে এমনই ভোগান্তি পোহাতে হয় বানভাসি লোকজনকে। পরিস্থিতি তেমনটা না হলেও চোরের দাপটে রাস্তার পানীয় জলের যন্ত্র সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাওয়ার জোগাড় পানিহাটি পুরসভার।
পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই জলের যন্ত্র থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে স্টিলের কল! অগত্যা একটি বেসরকারি সংস্থাকে সারা বছর ধরে ওই সব জল-যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিতে দরপত্র ডাকার পরিকল্পনা করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘কী আর করা যাবে! পানীয় জলের কল উধাও হলে মানুষের স্বার্থে আবার নতুন কল লাগানো হবে। সারা বছর ধরে রক্ষণাবেক্ষণের এটাও একটি অংশ।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, মহাজাতি মোড়, আগরপাড়া স্টেশন রোড-সহ পানিহাটির ৩৫টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় কয়েক বছর আগে পথচলতি মানুষের জন্য ওই সব পানীয় জলের যন্ত্র বসানো হয়েছিল। মার্বেল পাথর ও টালির ছাউনির অনুকরণে তৈরি গুমটির মতো জায়গার ভিতরে রাখা হয়েছিল সেগুলি। পাম্পের মাধ্যমে তাতে জল উঠত। ওই যন্ত্র থেকে চাইলে ঠান্ডা জলও পাওয়া যেত। যন্ত্রগুলিতে দু’টি করে স্টিলের কল লাগানো থাকত। সব ক’টি ওয়ার্ডে পানীয় জলের ওই যন্ত্র বসাতে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বছর দুয়েক আগে থেকে ওই কলগুলি চুরি হতে শুরু করে। পুলিশ সূত্রের খবর, সাধারণ ছিঁচকে চোরের দলই এই ধরনের কাজ করে। কয়েক বার দু’-তিন জনকে ধরাও হয়েছিল। জল খাওয়ার ভান করেও ছোট যন্ত্র দিয়ে স্টিলের কল খুলে নিয়ে যে কেউ চাইলে চম্পট দিতে পারে। চট করে তা বোঝা যাবে না। পুরকর্তারা জানান, প্রথম দিকে নতুন কল লাগানো হচ্ছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, প্রায় সব ওয়ার্ডেই এক অবস্থা। বর্তমানে ৩৫টি ওয়ার্ডের প্রায় কোনও যন্ত্রেই কল নেই। আরও অভিযোগ, জল-যন্ত্রের যে বৈদ্যুতিক সংযোগ রয়েছে, সেগুলিরও তার কেটে চুরি হয়ে যাচ্ছে। বহু দিন ধরে পুর বোর্ড না থাকায় জলের যন্ত্রগুলি সারানো হয়নি। বর্তমান প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য সোমনাথ দে বলেন, ‘‘পুরসভার তরফে কল লাগিয়ে দেওয়া হবে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি সংস্থাকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়োগ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy