দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ও খরচ কমাতে কলকাতা পুলিশ ২০০টি বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার জন্য রাজ্যের অর্থ দফতর ৪৪ কোটি টাকারও বেশি মঞ্জুর করে। ডাকা হয়েছিল দরপত্রও। কিন্তু অভিযোগ, শর্ত না মেলায় বাতিল হয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার ওই সিদ্ধান্ত।
লালবাজার সূত্রের খবর, দু’টি গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা দরপত্রে অংশ নিলেও শর্তের সঙ্গে তা মেলেনি। তাই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে। আগে নির্ভয়া প্রকল্পে ১৮১টি গাড়ি কেনার কথা থাকলেও নবান্নের ছাড়পত্র না মেলায় ওই গাড়ি কেনাও সম্ভব হয়নি এখনও। অভিযোগ, এ সবের ফলে কলকাতা পুলিশ বর্তমানে গাড়ির সঙ্কটে পড়তে চলেছে। যদিও এক পুলিশকর্তার দাবি, গাড়ির কোনও সঙ্কট নেই। ফের নতুন করে গাড়ি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে নগরপাল উদ্যোগী হয়েছেন। আশা করা যায়, বাহিনীর জন্য পুজোর আগেই কলকাতা পুলিশে নতুন গাড়ি চলে আসবে।
সূত্রের দাবি, কলকাতা পুলিশে গাড়ির সঙ্কট নতুন নয়। পুলিশের চলতি নিয়ম অনুযায়ী, ইনস্পেক্টর পদে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে থানা বা ট্র্যাফিক গার্ডে অতিরিক্ত ওসি হিসাবে যোগদান করলে তাঁদের গাড়ি দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু, সাত মাস আগে বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডে একাধিক ইনস্পেক্টরকে অতিরিক্ত ওসি হিসাবে নিয়োগ করা হলেও তাঁদের জন্য গাড়ি বরাদ্দ হয়নি। তাঁরা মোটরবাইকে চেপেই নিজেদের ডিউটি করছেন। লালবাজারের দাবি, গাড়ির অভাবের জন্যই তাঁদের বরাদ্দ করা হয়নি। অবশ্য গুরুত্ব বুঝে কলকাতা পুলিশে নবতম সংযোজিত এলাকা ভাঙড় ডিভিশনের থানার ওসি এবং অফিসারদের জন্য নতুন গাড়ি কেনা এবং ভাড়ার গাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, বর্তমানে পুলিশের হাতে ২৮টি বৈদ্যুতিক গাড়ি রয়েছে। এই গাড়িগুলি চালাতে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা খরচ হয়। যেখানে পেট্রল বা ডিজ়েলের গাড়ির জন্য দিনে খরচ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। পুলিশের নিজস্ব প্রায় ৪০০০ পেট্রল বা ডিজ়েলচালিত গাড়ির বদলে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করলে মাসে কয়েক লক্ষ টাকা সাশ্রয় হত। সেই কথা ভেবেই বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল লালবাজার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)