Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘প্রতিবাদী’ খুন একবালপুরে

পাড়ায় গড়ে উঠেছিল মদ-গাঁজার ঠেক। সেখানেই চলছিল বিভিন্ন অসামাজিক কাজ। অভিযোগ, এরই প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হতে হল ফার্নাদ বেগম (৪৩) নামে এক মহিলাকে। রবিবার রাতে, একবালপুরের বর্নফিল্ড রো-এর ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৫ ০২:০৭
Share: Save:

পাড়ায় গড়ে উঠেছিল মদ-গাঁজার ঠেক। সেখানেই চলছিল বিভিন্ন অসামাজিক কাজ। অভিযোগ, এরই প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হতে হল ফার্নাদ বেগম (৪৩) নামে এক মহিলাকে। রবিবার রাতে, একবালপুরের বর্নফিল্ড রো-এর ঘটনা।

ঘটনায় পাঁচ মহিলা-সহ ছ’জন গ্রেফতার হয়েছে। এরা সকলেই একই পরিবারের। ধৃতদের নাম মহম্মদ নিজামুদ্দিন, তেহরা খাতুন, সেহরা খাতুন, শামা পারভিন, সাজদা পারভিন এবং শাহনওয়াজ পারভিন। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।

মহম্মদ আক্রম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ধৃতদের জন্য এলাকায় চলাফেরা করাই দুষ্কর হয়ে উঠেছিল।’’ এলাকায় একটি বিদ্যালয় ও ধর্মস্থান রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাস দুই ধরে তার সামনেই অবাধে মদ-গাঁজা খাওয়া এবং বিভিন্ন অসামাজিক কাজকে প্রশ্রয় দিচ্ছিল ওই পরিবার।

স্থানীয়দের দাবি, এ নিয়ে এলাকায় মাঝে মধ্যেই গোলমাল হত। এ দিন তা বড় আকার নেয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে ফার্নাদের ভাই রাজ এ সবের প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষে তুমুল তর্কাতর্কি হয়। বিকেলে ফের গোলমাল শুরু হলে অভিযুক্ত পক্ষ প্রথমে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসে। সন্ধ্যায় ফের গোলমাল শুরু হলে আহত হন ফার্নাদের বোন নার্গিস খাতুন।

এর পরে নার্গিস ও স্থানীয়েরা থানায় যান। নার্গিসকে হাসপাতালেও পাঠায় পুলিশ। অভিযোগ, এর মধ্যেই মেটিয়াবুরুজ থেকে আত্মীয়স্বজন নিয়ে এসে স্থানীয়দের সঙ্গে দফায় দফায় ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্তেরা।

অভিযোগ, ফার্নাদ প্রতিবাদে যোগ দিলে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে হেনস্থা করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ে যান ফার্নাদ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত পরিবারের বাড়ি ‘সিল’ করে দিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও অসামাজিক কাজ বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়নি পুলিশ। ফার্নাদের ছেলে মহম্মদ শাহিদ বলেন, ‘‘মা অসুস্থ ছিলেন। তাই মাকে অতিরিক্ত হেনস্থা করে মেরে ফেলল ওরা।’’

স্থানীয়দের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ না নিয়ে ঘটনাস্থলে আসার অভিযোগ উঠেছে একবালপুর থানার বিরুদ্ধে। অভিযোগ নস্যাৎ করে থানার এক কর্তার দাবি, থানায় উপস্থিত সকল মহিলা পুলিশকে নিয়েই যাওয়া হয়েছিল। পরে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে লালবাজার থেকে আরও মহিলা পুলিশ আনানো হয়। পুলিশের দাবি, অসামাজিক কাজের অভিযোগ কখনও পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE