Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সোনা পাপ্পুর ফাঁসি চাই, কোর্ট চত্বরে ট্রাকভর্তি বিক্ষোভকারী

শৌচাগার ব্যবহার নিয়ে গোলমালের জেরে বচসা-হাতাহাতি এবং শেষমেশ খুন। কসবা থানা এলাকায় গত ৭ ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনায় মূল চক্রী সোনা পাপ্পুর চরম শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার উত্তাল হয়ে উঠল আদালত চত্বর।

চলছে বিক্ষোভ। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

চলছে বিক্ষোভ। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৪
Share: Save:

শৌচাগার ব্যবহার নিয়ে গোলমালের জেরে বচসা-হাতাহাতি এবং শেষমেশ খুন। কসবা থানা এলাকায় গত ৭ ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনায় মূল চক্রী সোনা পাপ্পুর চরম শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার উত্তাল হয়ে উঠল আদালত চত্বর।

তখন বেলা সাড়ে ১২টা। কসবা থেকে চারটে ছোট ট্রাকে বোঝাই হয়ে প্রচুর লোকজন পৌঁছে যান আলিপুরে। পুলিশ-আদালতের বাইরে সোনা পাপ্পুর ফাঁসির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। যা দেখে এক পুলিশকর্মী বলেন, ‘‘এক জন দুষ্কৃতীকে আদালতে তোলার সময়ে এ ধরনের জমায়েত-বিক্ষোভ আগে থেকে পরিকল্পনা না করলে হয় না। এর পিছনে রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে।’’

একই অভিযোগ উঠেছিল গত ৭ ফেব্রুয়ারি। সে দিন কসবা থানা এলাকার বেদিয়াডাঙা লেনে গোলমালের জেরে খুন হন পলাশ জানা নামে এক যুবক। প্রথমে শৌচাগার ব্যবহারকে কেন্দ্র করে গোলমাল বলা হলেও পরে জানা যায়, শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর পুরনো বিবাদের জেরেই ওই হামলা ও খুন। সামনে আসে কাউন্সিলর বিজনলাল মুখোপাধ্যায় এবং বিধায়ক জাভেদ খানের এলাকা দখলের লড়াইয়ের অভিযোগও। যদিও ওই সময়ে দু’জনই সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন। মঙ্গলবারের ঘটনাতেও অভিযোগ ওঠে, আদালতের সামনে বিক্ষোভ সংগঠিত করার পিছনে জাভেদ খানের হাত রয়েছে। যা অস্বীকার করে বিধায়কের দাবি, ‘‘ওঁরা আমার লোকজন নয়। এলাকার এক যুবক খুন হয়েছেন। তাই সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছেন। আমি কাউকে পাঠাইনি, যেতেও বলিনি।’’

আর কাউন্সিলর এ সব বিতর্কে জড়াতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘আমি এ সবের মধ্যে নেই। এক নিরীহ যুবক মর্মান্তিক ভাবে মারা গিয়েছেন। তার প্রতিবাদে মানুষ মিলিত হয়ে আদালতে গিয়েছে।’’

এ দিন কী হয়েছিল?

পুলিশ জানায়, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেফতার করে আনার পরে এ দিন সোনা পাপ্পুকে আদালতে তোলা হয়। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ চারটে ছোট ট্রাকে চেপে প্রচুর লোকজন আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক এলাকা চত্বরে ঢুকে পড়েন। সেখানে পুলিশ-আদালতের সামনে সোনা পাপ্পুর ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এক সময়ে আদালতকক্ষের দিকে ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়। ভিতরে তখন লক-আপে অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে ছিল সোনা পাপ্পুও। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘‘সোনা পাপ্পু গত তিন বছর ধরে কাউন্সিলরের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে। তাই পাপ্পুর ফাঁসির দাবি জানাতে এসেছি।’’ আধ ঘণ্টা ধরে এই বিক্ষোভের জেরে আদালতের কাজে অসুবিধা হওয়ায় পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Protest Execution Sona Pappu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE