রাস্তা থেকে নিকাশি, সবেরই বেহাল দশা। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি কাজ না করায় এলাকায় পুর পরিষেবার হাল ভয়াবহ— এমনই অভিযোগ তুলে মহেশতলায় ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচিতে আসা সেই পুরপ্রতিনিধিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বেগপাড়ায়।
এ দিন সেখানকার উত্তর জালখুরা অগ্রণী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের শিবির হওয়ার কথা ছিল। সেই উপলক্ষে শিবির শুরু হওয়ার আগে সেখানে আসেন স্থানীয় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁকে দেখামাত্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। স্কুলের ভিতরেই বিকাশকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তৈরি হয় উত্তেজনা। বেশ কিছু ক্ষণ ওই ভাবে আটকে থাকার পরে ঘটনাস্থলে মহেশতলা থানার পুলিশ পৌঁছলে জনরোষের হাত থেকে নিস্তার পান পুরপ্রতিনিধি। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বিকাশকে লক্ষ্য করে ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন স্থানীয়েরা। এর পরে সেই স্কুলে বন্ধ করে দেওয়া হয় ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবির।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের হালদারপাড়া, মণ্ডলপাড়া, বেগপাড়ায় সে ভাবে কোনও কাজই করেননি বিকাশ। দীর্ঘ দিন ধরে নিকাশির সংস্কার না হওয়ায় ওই ওয়ার্ডে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, ওই এলাকার রাস্তাগুলিরও বেহাল দশা। এ বিষয়ে পুরপ্রতিনিধিকে একাধিক বার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে তাঁদের দাবি। তারই প্রতিবাদে এ দিন ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবিরে আসতেই বিকাশকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদেরই এক জন, স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘২২ নম্বর ওয়ার্ডের মণ্ডলপাড়ার রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে জলমগ্ন। ওই নোংরা জলে লোকজন চলাচল করতে পারছেন না। পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারছে না। অথচ, পুরপ্রতিনিধি নির্বিকার। তাঁকে সব জানানো হলেও তিনি কিছুই করেননি।’’
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওই পুরপ্রতিনিধি এ দিন বলেন, ‘‘বেগপাড়ার নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হয়েছে। সেখানে পাম্পও বসানো হয়েছে।অন্যান্য এলাকায় যে সমস্ত কাজের কথা বলা হচ্ছে, সবই ধীরে ধীরে করে দেওয়া হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)