Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জনরোষ কেন, উত্তর মিলছে না

পুলিশের একাংশের দাবি, গত কয়েক মাসে ওই এলাকায় উল্লেখযোগ্য চুরির অভিযোগ জমা পড়েনি। তা হলে জনরোষ কেন হলো?

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১৭
Share: Save:

দক্ষিণ দমদমে চোর সন্দেহে এক তরুণকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রমোদনগর ও রবীন্দ্রনগর থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের নাম রজত দাস, সুমন দাস, গোপাল সমাদ্দার, প্রভাস মণ্ডল, অশোক সোনার, সুশান্ত কুণ্ডু, রাজকুমার গুপ্ত।

যদিও পুলিশের একাংশের দাবি, গত কয়েক মাসে ওই এলাকায় উল্লেখযোগ্য চুরির অভিযোগ জমা পড়েনি। তা হলে জনরোষ কেন হলো? তার সদুত্তর মেলেনি। পাশাপাশি, কয়েক ঘণ্টা ধরে শুভম কর নামে ওই তরুণকে মারধরের ঘটনা ঘটলেও কেন পুলিশ সময় মতো খবর পেল না অথবা ঘটনার পরে যে ভাবে কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়, তা-ও কেন সময়ে ঠেকানো গেল না, উত্তর মেলেনি সেই সব প্রশ্নেরও।

তবে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে বিষয়ে জনমত গঠনের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘‘এমন ভয়ঙ্কর প্রবণতা মানা যায় না। এর বিরুদ্ধে কী ভাবে জনমত গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।’’

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের কর্তাদের একাংশ জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সে ভাবে চুরির অভিযোগ হয়নি। যদিও স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ছিঁচকে চুরি বেড়েছে। ব্যারাকপুরের সিপি সুব্রত মিত্র রবিবার বলেন, ‘‘ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। সব অভিযুক্তই ধরা পড়বে।’’ চুরির উপদ্রব
বাড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Government Lynching
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE