Advertisement
E-Paper

দুই কোর্টে কাজ সরকারি কৌঁসুলিদের

গত ক’দিনে ব্যাঙ্কশাল ও শিয়ালদহ আদালত ঘুরে দেখা গিয়েছে, ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়, স্নেহাংশু ঘোষ, শুভেন্দু ঘোষ, দীপনারায়ণ পাকড়াশি রোজ আদালতে আসছেন। কাজও করছেন।

শমীক ঘোষ

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৯ ০১:৪৭
বিভিন্ন আদালত চত্বরে দেখা যাচ্ছে এমনই দৃশ্য। ফাইল চিত্র

বিভিন্ন আদালত চত্বরে দেখা যাচ্ছে এমনই দৃশ্য। ফাইল চিত্র

আইনজীবীদের কর্মবিরতির জেরে শহরের বিভিন্ন আদালতে নাকাল হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। কিন্তু এই কর্মবিরতির মধ্যেও ব্যাঙ্কশাল ও শিয়ালদহ আদালতের সরকারি কৌঁসুলিরা কাজ করছেন। তাতে সব বিচারপ্রার্থীর সুরাহা না-হলেও কিছু লোকের অন্তত লাভ হচ্ছে বলে মনে করছেন আইনজীবীদেরই একাংশ। যদিও আলিপুর আদালতের ক্ষেত্রে এমন দৃশ্য চোখে পড়েনি। সেখানকার মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিবাদে কাজ বন্ধ।’’ তবে রাধাকান্তবাবুর দাবি, মামলার কাজ না করলেও তিনি এসে নথিপত্রে সই-সাবুদ করছেন।

গত ক’দিনে ব্যাঙ্কশাল ও শিয়ালদহ আদালত ঘুরে দেখা গিয়েছে, ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়, স্নেহাংশু ঘোষ, শুভেন্দু ঘোষ, দীপনারায়ণ পাকড়াশি রোজ আদালতে আসছেন। কাজও করছেন। অনেক সময়ে অভিযুক্ত প্রিজন ভ্যানে বসে থাকছেন। মামলার নথি নিয়ে কখনও এজলাসে, কখনও বিচারকের চেম্বারে গিয়ে কাজ করছেন সরকারি কৌঁসুলিরা। দিনে এ ভাবে গড়ে ১৫-২০টি মামলার কাজ হচ্ছে।

আদালত সূত্রের খবর, জামিনযোগ্য মামলায় অভিযুক্তেরা আদালত থেকে জামিন পাচ্ছেন। কিন্তু যে মামলাগুলির শুনানি চলছে দীর্ঘদিন ধরে, সেখানে অভিযুক্ত পক্ষের কৌঁসুলিরা অনুপস্থিত থাকায় সেগুলির শুনানি ক্রমশ পিছিয়েই যাচ্ছে। ব্যাঙ্কশালের সরকারি কৌঁসুলি অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘কর্মবিরতি চললেও আমাদের কাজ করতে কেউ বাধা দিচ্ছেন না।’’ দীপনারায়ণবাবু অবশ্য তাঁর কাজ করা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। সেখানকার সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী নিয়মিত আদালতে এসে নিজের কাজ করছেন। ওই কোর্টেও গড়ে প্রতিদিন ১৫টি মামলার কাজ হচ্ছে বলে খবর। অরূপবাবুর বক্তব্য, ‘‘আইনজীবীরা স্বাধীন। কিন্তু আমরা সরকারি কর্মী। বেতন নিলে কাজ করতে বাধ্য।’’ সরকারি কৌঁসুলিদের অনেকেরই বক্তব্য, অভিযুক্তদেরও মৌলিক অধিকার রয়েছে। তা রক্ষা করা তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

আইনজীবীদের কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, সহকর্মীদের কথা ভেবে সরকারি কৌঁসুলিরাও কর্মবিরতি পালন করতে পারতেন। অন্য আদালতেও তো তাঁদের অনেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন। যদিও কৌঁসুলিদের অন্য একটি অংশের বক্তব্য, তাঁরা কাজ করতে চাইলেও ‘চাপের’ মুখে কর্মবিরতি ভেঙে আদালতে যেতে পারছেন না। কয়েক জন সরকারি কৌঁসুলি সেই ‘চাপ’ এড়িয়ে কাজ করছেন। তাতে মানুষের দুর্ভোগ সামান্য হলেও কমছে।

Strike Court Public Prosecutor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy