সাজগোজ: মনোহর দাস তড়াগ চত্বরে সৌন্দর্যায়ন। নিজস্ব চিত্র
জলাশয়ে চরছে হাঁস। পুকুরে ছাড়া রয়েছে রঙিন মাছ।
জলাশয়ের চারপাশে দর্শনার্থীদের বসার জন্য রয়েছে সুসজ্জিত আসন। নিউ মার্কেটের অদূরেই কলকাতা ময়দানের দক্ষিণ দিকে জওহরলাল নেহরু রোড ঘেঁষে সেজে উঠেছে মনোহর দাস তড়াগ।
নিউ মার্কেট থেকে কেনাকাটা সেরে কেউ চাইলে তাই মনোহর দাস তড়াগের ধারে কাটাতে পারেন খানিকটা সময়।
একদা জঙ্গল, আবর্জনায় ভর্তি তড়াগের পাশে কেউ ঘেঁষতে চাইতেন না। বছর দুয়েক আগে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। পুরো জায়গার মালিকানা প্রতিরক্ষা দফতরের হলেও মনোহর দাস তড়াগের সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ করেছে রাজ্য পূর্ত দফতর।
প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই কাজ করা হয়েছে বলে দফতর সূত্রের খবর। পাঁক তুলে জলাশায়ের গভীরতা বাড়ানো হয়েছে। সেখানে ছাড়া হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির রঙিন মাছ। পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রঙিন মাছের পাশাপাশি কাতলা, শিঙি, কই মাছও রয়েছে জলাশয়ে। গত বছর জলাশয় থেকে প্রায় বারো হাজার টাকার মাছ বিক্রিও করা হয়েছে।’’
সম্প্রতি নিউ মার্কেটে কেনাকাটা সেরে সপরিবার মনোহর দাস তড়াগের ধারে বসেছিলেন হাওড়ার দাশনগরের বাসিন্দা খোকন সেন। খোকনবাবুর বলেন, ‘‘এক সময়ে মনোহর দাস তড়াগের পাশ দিয়ে যেতে হলে নাকে রুমাল দিতে হতো। সৌন্দর্যায়নের পরে এখানে প্রবেশমূল্য ছাড়াই ঢোকা যাচ্ছে।’’
অবশ্য ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, প্রবেশমূল্য না থাকায় অবাধে ঢুকে যত্রতত্র নোংরা করছেন অনেকেই। প্রায় দু’একর জায়গার তদারকির জন্য মাত্র এক জন নিরাপত্তারক্ষী যে যথেষ্ট নয়, তা মেনে নিচ্ছেন পূর্ত দফতরের কর্তারা। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘মনোহর দাস তড়াগে আরও নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন। প্রবেশমূল্য না থাকায় বেশি রক্ষীর বেতন দেওয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব।’’ তিনি বলেন, ‘‘এই পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্যায়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy