E-Paper

খুনের পরিকল্পনা করেই কি ছুরি নিয়ে তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল অভিযুক্ত

অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে ২১ বছরের ওই ছাত্রীকে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার নীলপুকুরের কাছে ছুরি দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্ত জয়ন্ত তাঁতি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৩ ০৭:২১
An image of the shadow

—প্রতীকী চিত্র।

খুনের আগাম পরিকল্পনা করেই কি কলেজছাত্রী বান্ধবীকে ডেকে পাঠিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক? এই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। কারণ, তদন্তে জানা গিয়েছে, বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময়ে নতুন ছুরি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল অভিযুক্ত। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত যুবক ওই তরুণীকে ফোন করে শেষ বারের জন্য দেখা করতে চায়। তার পরে আর বিরক্ত না করারও প্রতিশ্রুতি দেয় সে।

পুলিশের অনুমান, সে কথা বিশ্বাস করে ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ছাত্রী। বর্তমানে তিনি ই এম বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এ দিকে, ওই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে ২১ বছরের ওই ছাত্রীকে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার নীলপুকুরের কাছে ছুরি দিয়ে আঘাত করে অভিযুক্ত জয়ন্ত তাঁতি। পরে তাঁকে পাশের একটি পুকুরের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে জলে ডুবিয়ে খুন করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। ওই সময়েই এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন পূর্ব যাদবপুর ট্র্যাফিক গার্ডের এক অফিসার। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই জখম ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। একই সঙ্গে অভিযুক্তকে আটক করে সার্ভে পার্ক থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

কেন ওই ছাত্রীকে খুনের চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত যুবক? তদন্তকারীরা জানান, ধৃতের দাবি, সে ওই ছাত্রীর বাবার সঙ্গে কাঁকড়ার ব্যবসা করত। সেই সূত্রেই তাঁদের বাড়িতে তার যাতায়াত। দু’জনের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যদিও কিছু দিন ধরেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন তরুণী। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল জয়ন্ত। আর তাই সে শেষ বারের মতো দেখা করবে বলে ডেকে পাঠিয়েছিল ওই ছাত্রীকে।

যদিও হাসপাতালে শুয়ে ওই ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে জয়ন্তের কোনও সম্পর্ক ছিল না। তবে বেশ কয়েক দিন ধরেই বার বার তাঁকে বিরক্ত করছিল ওই যুবক।

ছাত্রীর পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বের বেশি কিছু ছিল না। ঘটনার আগের দিনও ওই যুবক ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েছিল। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ধৃতকে বুধবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২৮ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। হেফাজতে নিয়ে ধৃতকে জেরা করে বাকি সব তথ্য জানতে চাওয়া হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Murder police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy