Advertisement
E-Paper

পুজোর শেষ প্রস্তুতিতে বাধা বৃষ্টির

বুধবার সারা দিনই মণ্ডপের বাইরের কাজ করা যায়নি। ভিতরের কারুকাজ শেষ করে রাতের দিকে মণ্ডপের বাইরের দিকে রং আর তার উপরে কল্কা বসানোর পরিকল্পনা ছিল অনেকেরই।

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০১:২২
সুরক্ষা: প্লাস্টিকের আচ্ছাদনে ঢেকে মণ্ডপের পথে প্রতিমা। বৃহস্পতিবার, শোভাবাজারে। ছবি: সুমন বল্লভ

সুরক্ষা: প্লাস্টিকের আচ্ছাদনে ঢেকে মণ্ডপের পথে প্রতিমা। বৃহস্পতিবার, শোভাবাজারে। ছবি: সুমন বল্লভ

অবিরাম চলছে বৃষ্টি। কখনও ঝিরঝিরে, কখনও খানিক জোরেও। আর তার জেরে কপালে ভাঁজ পড়েছে কালীপুজোর উদ্যোক্তা, শিল্পী— সকলেরই। আজ, শুক্রবার থেকে বিভিন্ন বড় পুজোর উদ্বোধন শুরু হবে। এ দিকে বৃষ্টির জেরে মণ্ডপের প্লাস্টার শুকোচ্ছে না, ধরছে না রং। মণ্ডপের চূড়া থেকে গোমড়া মুখে তুলি হাতে নেমে আসছেন শিল্পী। ভিজে বাঁশ কিংবা কাঠামোর উপরে উঠে কাজ করতে গিয়ে পিছলে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা। কুমোরটুলি থেকে কৃষ্ণনগর। পলিথিনে মুড়িয়েও বিশাল প্রতিমা ট্রাকে তুলে মণ্ডপে আনা যাচ্ছে না। মাটি গলে দেবীর হাত কিংবা অসুরের মাথা খসে পড়ছে।

বুধবার সারা দিনই মণ্ডপের বাইরের কাজ করা যায়নি। ভিতরের কারুকাজ শেষ করে রাতের দিকে মণ্ডপের বাইরের দিকে রং আর তার উপরে কল্কা বসানোর পরিকল্পনা ছিল অনেকেরই। কিন্তু রাত ১২ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার কারণে কাজ করা যায়নি মণ্ডপে। দমদম ও বারাসতে কয়েকটি বড় পুজো মণ্ডপ তৈরি করছেন শিল্পী শঙ্কর পাল। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘বৃষ্টির জন্য প্লাস্টার শুকোচ্ছে না। রং ধরছে না। মিস্ত্রিদের নিয়ে বসে আছি। রোদ না উঠলে রং শুকোয়? সবার মন খারাপ। সবাই চিন্তায়।’’

‘কে এন সি রেজিমেন্ট’ ক্লাবের কর্মকর্তা তথা বারাসত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৃষ্টির জন্য বেশ ক্ষতি হচ্ছে। কাজে দেরি হচ্ছে। কুমোরটুলি থেকে আমাদের ঠাকুর আসবে। বৃষ্টির জন্য ছোট-বড় সব পুজো কমিটিই সমস্যায় পড়েছে।’’ দুর্গোপুজোর পরেই মাঝারি মাপের পুজোগুলি মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু করেছিল। তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দিন-রাতের বৃষ্টিতে পণ্ড হয়েছে।

কৃষ্ণনগর থেকে প্রতিমা আনতে নিয়ে বৃষ্টি মাথায় এ দিন সকাল থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন পায়োনিয়ার অ্যাথলেটিক ক্লাবের ছেলেরা। ক্লাবের সম্পাদক শম্ভু দাস বলেন, ‘‘বৃষ্টিতে ঠাকুর আনতে গিয়ে প্রতিমার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। মণ্ডপে বিশাল প্রতিমা ঢুকিয়ে দেওয়ার পরেও অনেক কাজ থাকে। সব বন্ধ। বৃষ্টির জন্য শিল্পীরা মণ্ডপের বাইরেও কাজ করতে পারছেন না। এ দিকে রাত পেরোলেই উদ্বোধন।’’

১২টি বিরাট মাপের কালী প্রতিমা গড়েছেন কুমোরটুলির প্রতিমা শিল্পী মিন্টু পাল। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘বৃষ্টির জন্য কাজে যে কী অসুবিধা হচ্ছে বলে বোঝানো যাবে না। ১৪ ফুটের একটি কালী প্রতিমা ট্রাকে তুলতে গিয়ে ভেঙে-চুরে একাকার হয়ে গেল। হাত খুলে গেল, মাথা ভেঙে গেল। এ সব হলে তো আমাদের কাজও বেড়ে যায়। বৃষ্টি বন্ধ না হলে খুব সমস্যা।’’

Rain Kali Puja 2019
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy