জরাজীর্ণ: জং ধরে ক্ষয়ে গিয়েছে চেতলা লকগেট সেতুর লোহার কাঠামো।
পরিদর্শনের পরেই চেতলা লকগেট সেতুকে ক্ষতিগ্রস্থ ঘোষণা করেছিলেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। সেই কারণে, পুরনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনাও করা হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও নতুন ভাবে সেতুর নির্মাণ নিয়েও রয়েছে নানা সমস্যা।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পুরনো সেতু যে জায়গায় যতটা জায়গা জুড়ে রয়েছে, সেটুকু জায়গায় সেতুটি নতুন করে তৈরি করলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ওই সেতুটি যদি আরও বড় করে তৈরি করতে হয়, সেক্ষেত্রে সেতুটির মাপের পরিবর্তনের প্রয়োজন। সেখানেই সমস্যা।
কেএমডিএ-র আধিকারিকদের একাংশ জানান, সেতুর রাস্তা চওড়া করতে গেলেই রাস্তার দু’ধারের বসতির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হবে। অন্যদিকে, পুরনো সেতুটির যতটুকু জায়গা রয়েছে তাতে কাজ চলে গেলেও পরবর্তী সময়ের কথা ভেবেই সেতুটি আরও বড় করা প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের মতে, নতুন নকশায় সেতু তৈরি করলে আশপাশ এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দিয়েও তা করা যেতেই পারে।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, সেতুটি অনেক দিনের পুরনো। ওই সেতুটির একটি দিক ক্ষয়ে যাওয়ার ফলে সেতুর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, খালের উপরে যে অংশটি রয়েছে, জলের অম্লত্বের ফলে সেটিও ক্রমশ ক্ষয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, সেতুর উপর থেকেও রেলিংয়ের গায়ে ক্রমাগত আবর্জনা ফেলায় রেলিংয়ের ধারের ধাতব অংশ ক্ষয়ে গেছে। ফলে,ওই সেতুর উপর দিয়ে বড় কোনও ভারী গাড়ি গেলে, সেতু ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। নতুন করে ওই সেতুর মেরামতি অথবা নির্মাণ করতে গেলে দরপত্র করেই তা করতে হবে। তার জন্য সময়ও লাগবে। আবার বেলি ব্রিজ করার ক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগত সমস্যাও রয়েছে।
অন্য দিকে, যে সমস্ত উড়ালপুল বা সেতুর স্তম্ভ খাল বা নোংরা জলের মধ্যে রয়েছে, সেগুলির অবস্থা কী সেই ব্যাপারেও পরীক্ষা চলছে। অনেক সময়ে ক্ষার বা অম্লের পরিমান বেশি থাকলে স্তম্ভ নির্মাণের কাজ ব্যাহত হয়। সে ক্ষেত্রে জলের নমুনার পরীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট জরুরি। শুধুমাত্র লকগেট সেতুর ক্ষেত্রেই খালের জলের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না, যে সমস্ত সেতুর স্তম্ভ শহরের বিভিন্ন খালের মধ্যে ডুবন্ত সেই সমস্ত খালের জলের নমুনাও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy