Advertisement
E-Paper

এম আর বাঙ্গুরে পুলিশকে বেধড়ক মারধর করল রোগীর আত্মীয়রা

মঙ্গল টেম্পল রোড থেকে হাসপাতালে ঢোকে প্রায় ২৫-৩০ জনের একটি বড় দল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:১৫
চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

চলছে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

খাস কলকাতায় ফের আক্রান্ত হল পুলিশ। রবিবার দুপুরে টালিগঞ্জের এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের হাতে বেধড়ক মার খেল পুলিশ এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিভিশনাল রিজার্ভ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন যাদবপুর থানার আধিকারিকরা। হাসপাতাল চত্বরে লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করতে হয় রোগীর মারমুখী আত্মীয়দের। এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে দু’জনকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত এ দিন দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ। এম আর বাঙ্গুরে হাসপাতালে জ্বর নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন নিউ আলিপুরের মঙ্গল টেম্পল রোডের তিন যুবক। ওই রোগীদের আত্মীয়দের দাবি, রবিবার হাসপাতাল থেকে ওই তিন যুবককে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়। ফলে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই যুবকদের বাড়ি নিয়ে যেতে হাসপাতালে পৌঁছন রোগীর আত্মীয়রা।

রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, তিন রোগীকে বাড়ি নিয়ে যেতে আত্মীয়রা হাসপাতালে ঢুকতে চাইলে বাধা দেন হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা। অভিযোগ, রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন নিরাপত্তরক্ষীরা। সেই সময়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এক প্রস্থ বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই আত্মীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে পৌঁছন হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা। তখনকার মতো গণ্ডগোল মিটে যায়। রোগীর আত্মীয়রা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান।

আরও পড়ুন: মহিলাকে গাছে বেঁধে গণধর্ষণ, ভিডিয়ো পোস্ট করা হল অনলাইনে

কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হয় আরও এক ঘণ্টা পর। মঙ্গল টেম্পল রোড থেকে হাসপাতালে ঢোকে প্রায় ২৫-৩০ জনের একটি বড় দল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তারা প্রথম থেকেই ছিল মারমুখী। তারা এসেই জোর করে হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকতে গেলে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা এবং পুলিশ কর্মীরা। তারপরেই ওই মারমুখী যুবকরা ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশের উপর। চার পাঁচ জন পুলিশ কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁদের উর্দি টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

আরও পড়ুন: হিতে বিপরীত! বৃষ্টিতে আরও ভয়াবহ দিল্লির দূষণ, কাল থেকে ফের জোড়-বিজোড় নীতি

পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যেতেই খবর পাঠানো হয় যাদবপুর থানায়। কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশনের বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রোগীর আত্মীয়দের দাবি, পুলিশ লাঠি চার্জ করে। তবে পুলিশের দাবি, তাড়া করে ওই জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়। অন্যদিকে হাসপাতালের নিরাপত্তাকারীদের দাবি, প্রথমে রোগীর আত্মীয়রা বেশি সংখ্যায় ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেন তাঁরা। সেই থেকেই সমস্যার শুরু।

Hospital Police Crime M R Bangur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy