বাড়ছে দূষণ। ফাইল চিত্র।
কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পে বহু কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই প্রকল্পের পথে দূষণ সমস্যাই প্রধান অন্তরায় বলে মত রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্রের। শনিবার ইনস্টিটিউট অব টাউন প্ল্যানার্সের ‘গ্রিন সিটি’ সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় জল, বায়ু ক্রমশ বিষিয়ে যাচ্ছে। দিল্লির ‘সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অনুমিতা রায়চৌধুরীর গলাতেও শোনা গেল একই সুর।
পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, অপরিকল্পিত নগরায়ণে দূষণ বা়ড়ছে, ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। পরিবেশকে বাঁচিয়ে উন্নয়নের পথ হিসেবে ‘গ্রিন সিটি’-র ভাবনা এসেছে। এই ধরনের শহরের রূপায়ণে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মূল সমস্যাগুলিকে এড়িয়ে বাহ্যিক আড়ম্বরে ‘গ্রিন সিটি’ সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নই এ দিন উঠেছে।
কল্যাণবাবু জানান, শুধু কলকাতায় রোজ প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়। কিন্তু সেই বর্জ্য ডাঁই করার জায়গার আকাল ক্রমশ বাড়ছে। ধাপার ভাগা়ড় ভরে গিয়েছে। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছে ভাগা়ড়েরও তথৈবচ অবস্থা। অথচ শহরতলির ছ’টি পুরসভার জঞ্জাল ফেলার জায়গা সেটি। বায়ুদূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। আদিগঙ্গার হাল নালার থেকেও খারাপ। শহরের উপকণ্ঠে এসে বিষিয়ে যাচ্ছে গঙ্গাও। নির্বিচারে ভূগর্ভের জল তোলায় জলস্তর ক্রমশ নেমে যাচ্ছে। শব্দের দাপট থেকে রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতালগুলিও। তিনি বলেন, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেনের শব্দও বিকট। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও নিয়ে এক দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।’’ শীর্ষ পর্ষদ-কর্তার দাবি, এই দূষণ চিত্র বদলাতে নাগরিক সচেতনতাও জরুরি। তাই সচেতনতা বা়ড়ানোর চেষ্টাও চলেছে।
কিন্তু সব বাধা কাটিয়ে কলকাতার পরিবেশ বাঁচবে কি না, সে প্রশ্ন রয়েই গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy