উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
উড়ালপুলের যে অংশ এখনও অক্ষত রয়েছে তার হাল জানতে রাইটসকে শুক্রবার ডেকে পাঠায় নবান্ন। গত কাল এই সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে এসেছেন। এ দিন নবান্নকে তাঁরা জানিয়েছেন, উড়ালপুলের বাকি অংশ বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যেই উড়ালপুল সংলগ্ন বাড়িগুলি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
রাতভর উদ্ধারকাজ চালানোর পর শুক্রবার সকালে দু’টি দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের মধ্যে এক জন মহিলা ছিলেন। তাঁর নাম শাবানা বানু। তিনি কলুটোলার বাসিন্দা। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩। এ দিন সকাল থেকেই দফায় দফায় ঘটনাস্থল ঘুরে গিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা। কলকাতা পুলিশের সিপি রাজীব কুমার, ডি সি সাউথ মুরলীধর শর্মা, ডি সি নর্থ শুভঙ্কর সিনহা সরকার, জয়েন্ট সিপি ট্র্যাফিক এল এন মীনাও ঘটনাস্থলে যান। কংক্রিটের চাঁই সরাতে বুলডোজার নিয়ে আসা হয়। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডিজি, এস এস গুলেরিয়া সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানান, ‘‘বিশেষজ্ঞ দিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। যাতে ব্রিজের বাকি অংশ ভেঙে না পড়ে, তার জন্য প্রয়োজন হাইড্রোলিক জেটের প্রয়োজন। এর পর বেলা দেড়টা নাগাদ ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক দল।
গত কালই হাসপাতালে শুয়ে উড়ালপুলের এক নির্মাণকর্মী জানিয়েছিলেন, সেতুর একটি অংশে ত্রুটি দেখা দেয়। তড়িঘড়ি করে সেখানে ঝালাইয়ের কাজ করা হয়েছে। যে অংশে ঝালাই করা হয়েছিল সেটিই ভেঙে পড়ে হুড়মুড়িয়ে। প্রশ্ন ওঠে, কেন বিষয়টিকে ভাল ভাবে খতিয়ে না দেখে এ রকম জোড়া তাপ্পি দিয়ে কাজ করা হল কেন? এত গুলো মানুষের যে প্রাণ গেল তার দায় নেবে কে? নেতা-মন্ত্রীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেন, মুখ্যমন্ত্রীও গেলেন। কিন্তু যে ভাবে দায় এড়ানোর খেলা চলল তাতে সকলেই অবাক। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তো স্বীকার করেই ফেলেন, উড়ালপুলের নকশার ত্রুটির কথা সরকারকে জানিয়েছিলেন। যদি জানিয়েই থাকেন, তার পরেও কেন কাজ এগোনো হল? প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, “সব জেনেশুনেও কেন সুদীপবাবু চুপ ছিলেন?”
আরও পড়ুন...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy