ভাঙা রাস্তায় চলছে যাতায়াত। —নিজস্ব চিত্র।
বেটুয়াতলা কালীবাড়ি পেরিয়ে ইটলগাছার দিকে কিছুটা যেতেই প্রায় উল্টে যাচ্ছিল টোটোটি। চালকের অসতর্কতা নয়, ভাঙাচোরা রাস্তাই এর অন্যতম কারণ। এই রাস্তায় এ ধরনের ঘটনা রোজই ঘটে বলে জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, তবু হেলদোল নেই স্থানীয় পুর-প্রশাসনের।
বাসিন্দারা জানান, দমদম পুর-এলাকার প্রধান রাস্তাগুলির হাল খুবই খারাপ। যেমন, ভিআইপি রোড থেকে এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেট হয়ে ইটলগাছা রোডে। কিছুটা গিয়ে সেই রাস্তার নাম হয়েছে পি কে গুহ রোড। রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্ত। রাস্তার অনেক জায়গায় পিচ উঠে স্টোনচিপস বেরিয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে ছোট-বড় পাথর। চাকার চাপে সেগুলি পথচারীদের গায়ে ছিটকোয়।
সেন্ট্রাল জেলের মোড় থেকে গোরাবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র রোডের অবস্থাও খারাপ। এই রাস্তার উপরেই রয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতাল। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে রোগীদের যাতায়াতে খুব অসুবিধা হয়। হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, পুরসভার কাছে রাস্তা মেরামতির আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি। খারাপ অবস্থা এস পি মুখার্জি রোডেরও। স্থানীয়দের দাবী, এই নিয়ে বারবার পুরসভাকে জানান হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। এই সব রাস্তায় গাড়ি চালাতে ভয় পান চালকও। অটোর রুট থাকা সত্ত্বেও অটো যেতে চায় না। ইটলগাছার বাসিন্দা আকাশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘নিকাশি খুবই খারাপ। এক ঘণ্টা জোরে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে যায়। তখন তিন গুণ ভাড়ায় রিকশ চড়তে হয়। খোলা নর্দমার উপরের বেশ কিছু স্ল্যাব সরানো থাকায় যাতায়াতে খুব সমস্যা হয়।’’
গোরাবাজারের বাসিন্দা জয়দীপ মুখার্জি জানাচ্ছেন, প্রায় বছর খানেক আগে পাইপলাইনের কাজ হয়েছে এলাকায়। ফলে রাস্তার ধার উঁচু-নিচু হয়ে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সব রাস্তার দীর্ঘ দিন ভাল করে সংস্কারও হয়নি।
দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুর প্রধান সঞ্জীব চন্দের দাবি, ইটলগাছা ও পি কে গুহ রোড পিডব্লিউডি-র অধীন। ওটা সারাইয়ের দায়িত্ব ওদের। এস পি মুখার্জী রোডের একাংশে রয়েছে জেসপের কারখানা। ওদের থেকে পুরসভা কয়েক কোটি টাকা পায়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত ওই রাস্তা হবে না। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, ইটলগাছা ও পি কে গুহ রোডের কাজ শুরু হবে পুজোর আগেই। এ দিকে রাস্তার অবস্থা যে খুবই খারাপ মানছেন বর্তমান পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘ঋষি বঙ্কিমের কাজ পুজোর আগেই শুরুর কথা ভাবা হচ্ছে। আগামী বছরে ইটলগাছা ও পি কে গুহ রোডের সৌন্দর্যায়নে পুরসভা ও পূর্ত দফতর এক সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy