Advertisement
E-Paper

নতুন রাস্তা জুড়বে তিন শিল্পতালুক

সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে তথ্যপ্রযুক্তি তালুক বর্তমানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। চাকরি সূত্রে প্রতি দিন কয়েক হাজার মানুষ সেখানে যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তার পরিমাণ কম হওয়ায় এখনও ওই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ততটা সুসংহত নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৫
স্বীকৃতি: উন্নয়ন ভবনের অনুষ্ঠানে পুরমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

স্বীকৃতি: উন্নয়ন ভবনের অনুষ্ঠানে পুরমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে তথ্যপ্রযুক্তি তালুক বর্তমানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। চাকরি সূত্রে প্রতি দিন কয়েক হাজার মানুষ সেখানে যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তার পরিমাণ কম হওয়ায় এখনও ওই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ততটা সুসংহত নয়। সে কারণে নিউ টাউন, সল্টলেক ও বানতলার তথ্যপ্রযুক্তি তালুকের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়াতে নতুন রাস্তার পরিকল্পনা করেছেন পাঁচ নম্বর সেক্টরের প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, পাঁচ নম্বর সেক্টর এলাকায় ট্র্যাফিক ব্যবস্থা উন্নত করতে ইতিমধ্যেই রিং রোড তৈরি করা হয়েছে। সেই রাস্তাকেই এ বার এক দিকে নিউ টাউন, অন্য দিকে বানতলা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার বাড়ানো হচ্ছে। প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে এ ব্যাপারে বিশদ প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে। প্রকল্পের খরচ তুলতে সম্পত্তিকর আদায়ের উপরে জোর দিয়েছেন নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ।

কর দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ বাড়াতে করদাতাদের স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা আগেই করেছিল সংস্থা। এ দিন সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনে এক অনুষ্ঠানে সেই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। সবচেয়ে বেশি কর দেওয়ার নিরিখে শংসাপত্র দেওয়া হয় তিন সংস্থাকে। অনুষ্ঠানে ফিরহাদ বলেন, ‘‘এই স্বীকৃতি করদাতাদের উৎসাহ দেবে। আমি চাই সব পুরসভা নবদিগন্তের মতো এমন চিন্তা করুক।’’ মন্ত্রী জানান, গত অর্থবর্ষে কর বাবদ আদায় হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি।

পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তি তালুকগুলিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্যে রাস্তার পরিকাঠামো বাড়াতে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্প হলে সেই উদ্দেশ্য সফল হবে। পাশাপাশি, দক্ষিণ কলকাতা থেকে ওই রাস্তা ধরে কলকাতা বিমানবন্দর যাওয়ার বিকল্প পথও তৈরি হবে।

উল্লেখ্য, রিং রোড তৈরির সময়ে বলা হয়েছিল পাঁচ নম্বর সেক্টরের মধ্যে নয়, এলাকার চারদিকের রাস্তা দিয়ে বাস চলাচল করবে। পাঁচ নম্বর সেক্টরের ভিতরে চলাচলের জন্য স্কাইওয়ে তৈরির কথাও জানিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। এ দিন পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু প্রকল্প রূপায়ণ করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, সেই পরিমাণ জায়গা মিলছে না।’’

তবে নতুন রাস্তা তৈরিই শুধু নয়, এলইডি আলো দিয়ে গোটা তথ্যপ্রযুক্তি তালুককে মুড়ে ফেলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা খাবারের দোকান নিয়ে ইতিমধ্যেই সমীক্ষা করেছে বিধাননগর পুলিশ। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করে নিউ টাউনের ধাঁচেই গড়ে তোলা হবে ফুডকোর্ট।

Road extension proposed project New Town
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy