দিনেদুপুরে ফাঁকা ফ্ল্যাটে এক বৃদ্ধাকে বেঁধে রেখে ফের ডাকাতির ঘটনা ঘটল। এ বারও অভিযুক্ত বাড়ির পরিচালক।
বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে নিউ আলিপুরের এস এন রায় রোডের একটি বহুতলের ফ্যাটে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেল তিনটে নাগাদ ৬৫ বছরের শীলা খেমকা দুপুরের খাওয়ার পরে টিভি দেখছিলেন। সেই সময়ে তিন যুবক তাঁর ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে বৃদ্ধাকে বেঁধে ফেলে। তার পরে লুঠপাট চালায়। ওই তিন জনই বাড়ির পরিচারকের পরিচিত বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
শীলাদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, দিন সাতেক আগে তিনি শঙ্কর নামে এক ব্যক্তিকে পরিচারক হিসেবে নিযোগ করেন। বুধবার ঘটনার সময়ে শঙ্কর বাড়িতে থাকলেও, সে দুষ্কৃতীদের কোনও বাধা দেয়নি। সে লুঠপাটে অংশ না নিলেও দুষ্কৃতীরা বাড়ি থেকে মালপত্র নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে শঙ্করও তাদের পিছন পিছন চলে যায় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন গৃহকর্ত্রী।
ওই দুষ্কৃতীরা বৃদ্ধার ফ্যাটে ঢুকল কী করে? তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বৃদ্ধা টিভি দেখার সময়ে ফ্ল্যাটের কলিং বেল বেজে ওঠে। বৃদ্ধা নিজেই দরজা খুলে দেন। এক যুবক নিজেকে রমেশ প্রজাপতি বলে পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধাকে জানায় যে সে শঙ্করের পরিচিত। সেই সময়ে শঙ্কর বাড়িতেই ছিল। কিন্তু কলিংবেল শুনেও সে বাইরে বেরোয়নি বলে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন বৃদ্ধা।
বৃদ্ধা পুলিশকে জানান, রমেশ নিজেকে শঙ্করের পরিচিত বলায় তিনি আর তাকে সন্দেহ করেননি। যুবকটিকে তিনি বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেন। সেই যুবকই তখন বাইরে দাঁড়ানো আরও দুই যুবককে ভিতরে ডেকে আনেন। ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করে দিয়ে ওই তিন জন এর পরে বৃদ্ধাকে একটি চেয়ারে বেঁধে ফেলে। মুখে কাপড় গুঁজে দেওয়া হয় তাঁর। এর পরেই আলমারি ভেঙে লুঠপাট শুরু করে দুষ্কৃতীরা। শীলাদেবীর অভিযোগ, তাঁর গয়না-সহ বহু মূল্যবান জিনিস নিয়ে এক সময়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ জানাচ্ছে, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সন্ধ্যা পর্যন্ত পড়ে থাকেন শীলাদেবী। পরে তাঁর ছেলে বাড়িতে ফিরে এসে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শীলাদেবী সুস্থ আছেন। পুলিশ জানায়, শীলাদেবী ও তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা বলে শঙ্করের ছবি আঁকানোর চেষ্টা হচ্ছে। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে হানাদার তিন দুষ্কৃতীর স্কেচ আঁকার কাজ চলছে। যে ব্যক্তির কাজ থেকে খোঁজ পেয়ে খেমকা পরিবার শঙ্করকে কাজে লাগিয়েছেন, তাঁরও খোঁজ করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy