তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে চুরির সামগ্রী উদ্ধার করলেই হবে না। এ বার থেকে ধৃত অভিযুক্তের বাড়িতে খানা তল্লাশি করতে হবে। ধৃত অভিযুক্তের থেকে উদ্ধার হওয়া অন্য সামগ্রী কোনও চুরির সামগ্রীই কিনা, তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে রেল পুলিশের তদন্তকারীদের। ধৃত অভিযুক্তের শেষ কয়েক মাসের মোবাইল ফোনের নম্বর বিশ্লেষণও করতে বলা হয়েছে তদন্তকারীদের। যাতে অন্য কোনও অপরাধের সূত্র মিলতে পারে।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, চলন্ত ট্রেনে মোবাইল-সহ সব রকম চুরি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তদন্তের ওই কার্যবিধি তৈরি করছেন রাজ্য রেল পুলিশের কর্তারা। পুলিশ কর্তাদের দাবি, ধৃত অভিযুক্তের সঙ্গে কার কার যোগাযোগ রয়েছে বা সে একাধিক অপরাধে জড়িত কিনা, তা ওই ফোন নম্বর বিশ্লেষণ করে জানা যাবে।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, রেল পুলিশ এলাকায় মোবাইল ফোন চুরি সব চেয়ে বেশি হয়। শিয়ালদহ রেল পুলিশ জেলায় বছরে প্রায় দেড় হাজার মোবাইল নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয়। তথ্য বিশ্লেষণ করে রেল পুলিশের অভিমত, এর বেশির ভাগই চুরি হয়েছে। সেই চুরির কিনারা করতে গিয়ে কোনও অভিযুক্ত ধরা পড়লে এ বার তার নাড়িনক্ষত্র জেনে নিতে হবে। যাতে অন্য অপরাধের সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকলে তা জানা সম্ভব হয়।
রাজ্য রেল পুলিশের চারটি জেলা রয়েছে। পুলিশের কর্তারা ওই কার্যবিধি রেল পুলিশ জেলায় এখনও না পাঠালেও অপরাধ ঠেকানোর জন্য বিশেষ দল তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। কোন স্টেশনের কোন এলাকায় এবং কোন ট্রেনে সব চেয়ে বেশি চুরির অভিযোগ আসছে, তা দেখে বিশেষ দলকে দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, চলন্ত ট্রেন কোনও স্টেশনের বাইরে শ্লথ হলেই দুষ্কৃতী মোবাইল ফোন চুরি বা ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছে। এটা মূলত দিনের বেলায় ঘটছে। রাতে এসি কোচ থেকে ঘুমন্ত যাত্রীদের মালপত্র চুরি হওয়ার অভিযোগও প্রায়ই জমা পড়ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)