ইস্পাতের কন্টেনার থেকে রক্তচন্দন কাঠ বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টর অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নেতাজি সুভাষ ডকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ইস্পাতের পাত বোঝাই কন্টেনারের মধ্যে থেকে প্রায় নয় মেট্রিক টন রক্তচন্দনের কাঠ মিলেছে। যা ওই ইস্পাতের পাতের ভিতরে লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। ওই কন্টেনারের চালক এবং পরিবহণ সংস্থার বিরুদ্ধে এ নিয়ে রবিবার পশ্চিম বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া স্ট্রিটের একটি বেসরকারি সংস্থা চিনে প্রায় ১৬ মেট্রিক টন ইস্পাতের পাত সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েছিল। ওই সংস্থা শুল্ক দফতরের অনুমোদিত একটি বেসরকারি ক্লিয়ারিং সংস্থাকে মালটি চিনে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেয়। তারা আবার একটি পরিবহণ সংস্থাকে ওই পাত শালিমারের গুদাম থেকে নেতাজি সুভাষ ডকে পৌঁছনোর ভার দেয়। প্রায় সাত দিন পরে ওই কন্টেনার নির্দিষ্ট ডকে এসে পৌঁছয়।
পুলিশের দাবি, ডিআরআই খবর পেয়ে ওই কন্টেনার চিনের জাহাজে ওঠার আগেই আটকে দেয়। তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে ন’ মেট্রিক টন রক্তচন্দন কাঠ। এর পরে ডিআরআই শালিমারের ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পারে, শালিমার থেকে বন্দরে আসার পথে চন্দন কাঠ পাচারকারীরা চালক এবং খালাসির সাহায্যে কন্টেনার থেকে ইস্পাত নামিয়ে তার জায়গায় চন্দন কাঠ তুলে দিয়েছিল। ঘটনার পরে থেকে এই কন্টেনারের চালক ও খালাসি পলাতক। এর পরেই ওই সংস্থা পুলিশের দ্বারস্থ হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে ডুয়ার্সের একাধিক জায়গা থেকে চন্দনকাঠ উদ্ধার হয়েছে। এ বার তাই উত্তরবঙ্গের করিডর এড়িয়ে সমুদ্র পথে পাচারের চেষ্টা হচ্ছে। মূলত অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা হয়ে এ রাজ্যে রক্তচন্দন কাঠ ঢোকে। ট্রাকে ও দূরপাল্লার বাসে ছোট ছোট কাঠের টুকরো বা অন্য কোনও সামগ্রীর মধ্যে লুকিয়ে পাচার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy