নাগেরবাজারের কাজিপাড়া বিস্ফোরণ-কাণ্ডে মৃত আট বছরের শিশু বিভাস ঘোষের দাদা বিকাশ ঘোষের তিন বছরের জন্য পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন তার স্কুল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে দমদমের কে কে হিন্দু অ্যাকাডেমির ছাত্র বিভাসের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ১০ জন। আহতদের সেই তালিকায় বিকাশের মা সীতা ঘোষও রয়েছেন। শনিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যেরা এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন সীতাকে দেখতে যান। সেখানেই শিক্ষকদের তরফে জানানো হয়, বিকাশের পড়াশোনার যাবতীয়
দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করবেন। সন্তানদের মানুষ করার জন্য বিভাসের বাবা জন্মেজয় মিষ্টির দোকানে এবং মা সীতা পরিচারিকার কাজ করতেন। বিস্ফোরণে জখম সীতা সুস্থ হলেও পরিচারিকার কাজ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান পরিজনেরা। সীতার ডান দিকের কানের শ্রবণ শক্তি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন বিস্ফোরণে জখম শুভম দে-র শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর কাকা পিন্টু। আরজি করে চিকিৎসাধীন ফলবিক্রেতা অজিত হালদারের শারীরিক পরিস্থিতি একই রকম ভাবে সঙ্কটজনক। সেখানে আরও যে চার জন ভর্তি রয়েছেন, রুটির দোকানের মালিক চন্দ্রশেখর গুপ্ত, হার্ডওয়্যারের দোকানের কর্মী নব দাস আগের তুলনায় ভাল আছেন। মিষ্টির দোকানের কর্মী হারান সরকার বাঁ কানে কম শুনছেন। ধোপা শরৎ শেঠীর শরীরের বাঁ দিকের অংশ ঝলসে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ক্ষত শুকোনোর জন্য অন্তত মাসদুয়েক সময় লাগবে।