Advertisement
E-Paper

গাফিলতি নেই স্কুলের, কোর্টে দাবি পুলিশের

স্কুলে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া রাজন্য সরকারকে। প্রথমে স্কুলের ‘সিক রুম’-এ নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানীয় নার্সিংহোমে ওই পড়ুয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:১২
রাজন্য সরকার

রাজন্য সরকার

স্কুলে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া রাজন্য সরকারকে। প্রথমে স্কুলের ‘সিক রুম’-এ নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানীয় নার্সিংহোমে ওই পড়ুয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ২০১৪ সালের ৮ মে সাউথ পয়েন্টে এই ঘটনার পরে স্কুলের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ করেছিলেন রাজন্যের মা রুচিরা সরকার। তদন্তে পুলিশ অবশ্য স্কুলের গাফিলতি পায়নি। আলিপুর আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে তাই ‘মিসটেক অব ফ্যাক্ট’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, তদন্তে অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ না মিললে ওই শব্দবন্ধ লেখা হয়।

স্কুল পাল্টা অভিযোগ করে, রাজন্য অসুস্থ ছিল। সেই তথ্য অভিভাবকেরা জানাননি। পরিবার তা অস্বীকার করলেও রিপোর্টে পুলিশ মৃত্যুর জন্য অসুস্থতাকেই দায়ী করেছে। তদন্তকারীদের একাংশ বলছেন, নিকটজনের অপমৃত্যুর পরে অনেক সময়েই পরিবার এমন অভিযোগ করে। সে ক্ষেত্রে ভিসেরা পরীক্ষায় মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়। রাজন্যের ভিসেরা পরীক্ষাতেও খুন বা গাফিলতির জেরে মৃত্যুর প্রমাণ মেলেনি। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞেরা চিকিৎসা নথি দেখে জানান, পুরনো কোনও অসুখে রাজন্যের মৃত্যু হয়েছে।’’

তদন্তকারীদের সূত্র জানাচ্ছে, স্কুলের তিনতলায় রাজন্যকে অচৈতন্য অবস্থায় পান দুই শিক্ষিকা। তখন উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, শিশুটিকে সিক রুমে নিয়ে যেতেই সেখানকার নার্সিং-কর্মী হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। স্কুলের গাড়িতে করেই রাজন্যকে স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গোটা ঘটনা ঘটে ১২ থেকে ১৫ মিনিটে। তা থেকেই পুলিশের অনুমান, কর্মীদের গাফিলতি ছিল না।

পুলিশের রিপোর্ট মানতে নারাজ রুচিরাদেবী। বললেন, ‘‘তদন্তকারীরা আমাদের সঙ্গে কোনও কথাই বলেননি। আমরা এই রিপোর্টে খুশি নই।’’ পরিবারের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, রিপোর্টের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে আর্জি জানানো হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি।

police report rajanya sarkar shibaji de sarkar negligency
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy