—প্রতীকী ছবি।
১১ বছরের পড়ুয়াটি নতুন গাড়ির সিট ছিঁড়েছিল বলে অভিযোগ। সেই জন্য তাকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুলগাড়ির চালক এবং তাঁর সহকারীর বিরুদ্ধে। এমনকি, বাড়িতে নামানোর বদলে ছাত্রটিকে অন্য জায়গায় নামিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তদন্তে নেমে স্কুলগাড়ির চালক ও তাঁর সহকারীকে গ্রেফতার করেছে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম ঝন্টু সর্দার ও রাজু মণ্ডল। বৃহস্পতিবার তাঁদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে জামিনের আবেদন জানান আইনজীবী। জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে দূরে ওই নাবালক ছাত্রকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাকে তো কেউ অপহরণও করে নিয়ে যেতে পারত।’’ দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে ঝন্টু ও রাজুকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রটি একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। বুধবার ছুটির পরে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে সে বাড়ি ফিরছিল। নতুন ওই গাড়ির সিটে প্লাস্টিকের কভার দেওয়া ছিল। ছাত্রটি তা ছিঁড়েছিল বলে অভিযোগ। স্কুলগাড়ির চালক ও তাঁর সহকারীর দাবি, তাঁরা বারণ করলেও সে শোনেনি। পুলিশের দাবি, এর পরেই ওই দু’জন ছাত্রটিকে মারধর ও তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। ঘটনার সময়ে আর এক জন ছাত্রও গাড়িতে ছিল। অভিযুক্তেরা ছাত্রটিকে চক্রবেড়িয়ায় তার বাড়িতে নামানোর বদলে অন্য জায়গায় নামিয়ে দেয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটলেও ছাত্রের পরিবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। যার ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে এবং স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ছাত্রটির পরিবারের কাছ থেকে স্কুলগাড়িটির নম্বর নিয়ে রাতেই ঝন্টু ও রাজুর বাড়িতে অভিযান চালান তদন্তকারীরা।
লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিভাবকেরা ভরসা করে ছেলেমেয়েদের পুলকারের চালকদের হাতে ছেড়ে দেন। সেখানে চালক নিজেই ওই ছাত্রটিকে মারধর করেছেন। তার চেয়েও বড় কথা, তাকে অন্য জায়গায় নামতে বাধ্য করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy