প্রতীকী ছবি।
দুর্ঘটনা হলে সাজো সাজো রব পড়ে যায়। মন্ত্রী থেকে সান্ত্রী হুঙ্কার দিয়ে বলে ওঠেন, স্কুলগাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান হবে। কিন্তু মাস ঘুরতে না ঘুরতে সরকারের যাবতীয় হম্বিতম্বি শেষ। স্কুলগাড়ির অনিয়ম চলতে থাকে আগের মতোই।
পরিবহণ দফতরের কর্তারাই জানাচ্ছেন, গত অগস্টে পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনার পরে পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের অফিসারেরা একযোগে স্কুলগাড়ির অনিয়ম ধরার জন্য অভিযানে নামে। দেখা যায়, স্কুলগাড়িতে অনিয়মের শেষ নেই। বহু বছরের পুরনো টায়ার রিসোলিং করা, লজ্ঝড়ে গাড়ি, চালকের বৈধ লাইসেন্সও নেই। এ নিয়ে পুলিশ ধরপাকড় শুরু করতেই মালিকেরা স্কুলগাড়ি তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। পরিবহণ দফতরের এক কর্তার দাবি, ‘‘হুমকির পরেই পিছু হঠে আলোচনায় বসে সরকার।’’
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় যে সব স্কুলগাড়ি চলে, তার অধিকাংশেরই বৈধ পারমিট নেই। অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি স্কুলগাড়ি হিসেবে চলে। ওই সব গাড়িকে স্কুলগা়ড়ির পারমিট নিতে বলে সরকার। পাশাপাশি সরকার নমনীয় হয়ে জানিয়ে দেয়, স্কুলগাড়ির পারমিট থাকা গাড়ি অবসর সময়ে বা স্কুল ছুটি থাকার সময়ে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সরকার নিয়ম শিথিল করতেই হাজারখানেক গাড়ি পারমিট নিয়েছে।’’ কিন্তু তাতেও সমস্যার যে সমাধান হয়নি, মানছেন পরিবহণ কর্তারা। রিসোলিং করা টায়ার, লাইসেন্স বিহীন চালকের মতো একাধিক অভিযোগ রয়েই গিয়েছে।
ধরপাকড় বন্ধের পরে সে সব অনিয়ম দেদার শুরু হয়েছে বলেই অভিযোগ। দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষাটাই ঠিক মতো হয় না। ধরপাকড় করার সময়ে তাই ধরা পড়ার ভয়েই মালিকেরা গাড়ি বন্ধের হুমকি দেন। শহরে তখন স্কুলগাড়ির দেখাই পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। স্কুলে যেতে পারে না বহু খুদে পড়ুয়া। আর তার পরেই ধরপাকড় কার্যত শিকেয় উঠেছে।’’ যদিও পরিবহণ-কর্তারা দাবি করেছেন, স্কুলগাড়ি রেজিস্ট্রেশন থাকলে প্রতি বছর গাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে, তাতে সমস্যা মিটবে। কিন্তু সেই স্বাস্থ্যপরীক্ষাই বা কতটা ঠিক হবে, তা নিয়ে সন্দিহান পরিবহণ দফতরের একাংশের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy