Advertisement
E-Paper

কাঞ্চন কি চিকিৎসককে হেনস্থা করেছেন? পুলিশকে অনুসন্ধানের আবেদন ট্রপিক্যাল কর্তৃপক্ষের

চিকিৎসককে হেনস্থার ঘটনায় কাঞ্চনের বিরুদ্ধে থানায় সরকারি ভাবে অভিযোগ করার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডিরেক্টরকে স্মারকলিপি দিয়েছিল চিকিৎসকদের সংগঠন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ১৯:৩৯
image of kanchan mullick

কাঞ্চন মল্লিক। — ফাইল চিত্র।

স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে কর্তব্যরত চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে অভিনেতা, বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক এবং তাঁর স্ত্রী শ্রীময়ী মল্লিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অনুসন্ধানের জন্য এ বার কলকাতা পুলিশকে ইমেল করা হল ওই হাসপাতালের তরফে।

চিকিৎসককে হেনস্থার ঘটনায় কাঞ্চনের বিরুদ্ধে থানায় সরকারি ভাবে অভিযোগ করার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডিরেক্টরকে স্মারকলিপি দিয়েছিল চিকিৎসকদের সংগঠন রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (আরডিএ)। তার পরেই হাসপাতালের তরফে ঘটনায় অনুসন্ধানের জন্য শুক্রবার কলকাতা পুলিশকে ইমেল করা হল। আনন্দবাজার ডট কমকে হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট প্রণীত রায় বলেন, ‘‘এই ঘটনা নিন্দনীয়। সঠিক অভিযোগ দায়ের না-হলে এ ধরনের ঘটনা বাড়বে।’’ যদিও হাসপাতালের তরফে থানায় এখনও সরকারি ভাবে অভিযোগ দায়ের হয়নি। এই প্রসঙ্গে প্রণীত বলেন, ‘‘আমাদের দাবি ছিল, অভিযোগ দায়ের। সঠিক উপায়ে সঠিক পদ্ধতি মেনে তদন্ত হোক। স্বাস্থ্য ভবন কী মনে করেছে, সেটা তাদের বিষয়।’’

ঠিক কী ঘটেছিল বুধবার ট্রপিক্যাল মেডিসিনের আউটডোর বিভাগে? চিকিৎসকেরা হাসপাতালের ডিরেক্টরকে যে স্মারকলিপি দেন, তাতে জানানো হয়, বুধবার, ৯ জুলাই ট্রপিক্যাল মেডিসিনের আউটডোরে এক চিকিৎসককে হেনস্থা করা হয়। আর তা করেছেন এক জন জনপ্রতিনিধি। ওপিডিতে এক গুরুতর অসুস্থ শিশুকে দেখছিলেন মেহবুবর রহমান। তিনি হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান (এইচওডি)। সেই সময় অপেক্ষমাণ রোগীদের কাটিয়ে নিয়ম না-মেনেই সেখানে ঢুকে পড়েন কাঞ্চন এবং তাঁর স্ত্রী। তাঁরা দাবি করেন, তখনই তাঁদের আত্মীয়ার রক্তচাপ মাপতে হবে মেহবুবরকে। সেই সঙ্গে প্রেসক্রিপশনে মেটফরমিন লিখে দিতে হবে। স্মারকলিপিতে চিকিৎসকদের সংগঠন লিখেছে, মেহবুবর যখন জানান যে তিনি ওই শিশুর চিকিৎসা করছেন, তখনই দুর্ব্যবহার শুরু করেন বিধায়ক এবং তাঁর স্ত্রী। তাঁরা চিকিৎসকের নাম এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানতে চান। সেই সঙ্গে হুমকিও দেন। এই ঘটনা একেবারেই ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে চিকিৎসকেরা স্মারকলিপিতে জানিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অবশ্য আগেই উড়িয়ে দিয়েছেন কাঞ্চন, শ্রীময়ী।

School of Tropical Medicine MLA doctor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy