অভিযুক্ত অদিতি। —নিজস্ব চিত্র
খুনের আগে শুধু বচসা নয়। তার আগে বেশ কিছু ক্ষণ ধরে প্রতুল চক্রবর্তী ও অদিতি চক্রবর্তীর মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছিল। প্রাক্তন স্বামীকে খুনের অভিযোগে ধৃত বিমানবন্দরের কর্মী ওই মহিলাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পরে জেরায় এমনই নতুন তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তে উঠে আসা বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত যে পরিকল্পনা করেই স্বামীকে খুন করেছেন অদিতি। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই কোনও নির্দিষ্ট মন্তব্য করতে রাজি নন পুলিশকর্তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, অদিতির শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। বিশেষ করে দুই হাতে। জেরায় অদিতি স্বীকার করেছেন, ঘটনার দিন তিনি ও প্রতুল একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করার পরে নেশাও করেছিলেন। এর পরে অদিতি তাঁর পাওনা কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করতেই খেপে ওঠেন প্রতুল। তিনি গালিগালাজ শুরু করতেই অদিতির সঙ্গে বচসা বেধে যায়। পুলিশের দাবি, কিছু ক্ষণ কথা কাটাকাটির পরে প্রতুল ও তাঁর মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় বলে জানিয়েছেন অদিতি। তখনই অদিতির চোট লাগে। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় অদিতি স্বীকার করেছেন, এর পরেই প্রাক্তন স্বামীকে ফেলে দিয়ে তাঁর মুখে বালিশ চেপে ধরেন। পরে গলায় পাড়ের ফাঁস দিয়ে প্রতুলের মৃত্যু নিশ্চিত করেন অদিতি।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথমে কোনও মতেই প্রতুলকে খুনের কথা স্বীকার করেননি অদিতি। তাঁর হাতে ও শরীরে কেন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তা নিয়ে তদন্তকারীরা প্রশ্ন তুললে অবশ্য ভেঙে পড়েন অদিতি। এর পরেই তিনি স্বীকার করেন ঘটনার কথা। জেরায় ওই মহিলা দাবি করেছেন, প্রতুলের জন্য তাঁর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। টাকা ফেরত আনতেই তাই তিনি পানিহাটি যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy